Agricultural Science: এগ্রিকালচার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করলে রয়েছে দুর্দান্ত কেরিয়ারের সুযোগ! জানুন কীভাবে
Agricultural Science: স্নাতক স্তরে এই বিষয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষার্থী নিজেকে শুধু কৃষি বিশেষজ্ঞ নয়, বরং একজন গবেষক, উদ্যোক্তা ও পরিবেশ সচেতন পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

এগ্রিকালচারাল সায়েন্স বা কৃষি বিজ্ঞান এমন একটি ক্ষেত্র যা শুধু কৃষিকাজ নয়, বরং খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উৎপাদন, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পরিবেশ সংরক্ষণ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। স্নাতক স্তরে এই বিষয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষার্থী নিজেকে শুধু কৃষি বিশেষজ্ঞ নয়, বরং একজন গবেষক, উদ্যোক্তা ও পরিবেশ সচেতন পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
এগ্রিকালচারাল সায়েন্স কেন পড়বেন?
ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও কৃষক সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাইলে কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষা অপরিহার্য।
আবার আধুনিক কৃষিতে বায়োটেকনোলজি, ড্রোন, আইওটি, হাইড্রোপনিকস, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ব্যবহার বাড়ছে। কৃষি বিজ্ঞান আপনাকে এসব ব্যবহারের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেয়।
নতুন জাতের ফসল উদ্ভাবন, কীটনাশক ব্যবস্থাপনা, মাটির স্বাস্থ্য উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি—এসব ক্ষেত্রে গবেষণার বিশাল সুযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে পড়লে কী কী লাভ হতে পারে?
প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান লাভ হয়, ফিল্ড ও প্র্যাকটিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ে। নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ থাকে। কেরিয়ার গড়তে পারেন এগ্রো জগতে। সর্বোপরি কৃষি বিজ্ঞান আন্তর্জাতিকভাবেও চাহিদাসম্পন্ন একটি বিষয়।
চাকরির সুযোগ কোথায় কোথায় রয়েছে?
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ থাকে।
বেসরকারি ক্ষেত্রে যেমন বীজ, সার ও কৃষি যন্ত্রপাতি কোম্পানিতে, এগ্রি-টেক স্টার্টআপ বা কৃষিভিত্তিক এনজিও গুলিতেও রয়েছে কাজের সুযোগ।
আবার পড়াশোনাতেই নিজের কেরিয়ার গড়তে চাইলে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষকতা করতে পারেন।
কৃষি বিজ্ঞান পড়া মানে চাষ করা নয়। বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশাগত পথ। তাই যারা পরিবেশ, খাদ্য ও প্রযুক্তির সংমিশ্রণে কাজ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এগ্রিকালচারাল সায়েন্স একটি চমৎকার পছন্দ।
