
কলকাতা ও নয়াদিল্লি: হিয়ারিংয়ে বিএলএ-দের থাকতে না দেওয়া। বয়স্কদের শুনানিকেন্দ্রে ডাকা। একাধিক ইস্যুতে এতদিন কলকাতায় সিইও দফতরে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। এবার তারা যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে। বুধবার নয়াদিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আর ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্ঞানেশ কুমারের কাছে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কী কী অভিযোগ জানাবেন, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম থেকেই নানা ইস্যুতে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। কেন তাড়াহুড়ো করে ২ মাসে এসআইআর করা হচ্ছে, এই নিয়ে কমিশন ও বিজেপিকে বারবার নিশানা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক। গত শনিবার থেকে হিয়ারিং শুরু হয়েছে। সেখানে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের। কেন বিএলএ-দের হিয়ারিংয়ে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হন অভিষেক। তারপর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়েও তা নিয়ে অভিযোগ জানান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কমিশনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, কোনওভাবেই শুনানিকেন্দ্রে থাকতে পারবেন না রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-রা।
শনিবার থেকে ৩ দিন সিইও দফতরে গিয়ে নানা অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সিইও মনোজ আগরওয়াল সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক। গতকাল বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সভা থেকে নাম না করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ঘরে বসে এআই নিয়ে নাম কাটা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন অভিষেক। দশ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে অভিষেক ছাড়াও থাকবেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাদিমুল হক, প্রদীপ মজুমদার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া, মমতাবালা ঠাকুর, সাকেত গোখলে এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অভিষেকরা। জ্ঞানেশ কুমারকে তৃণমূল কী কী অভিযোগ জানায়, সেটাই এখন দেখার।