AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR: স্বাধীন ভারতে প্রথম থেকে ভোট দিচ্ছেন, মেদিনীপুরের সেই ১০২ বছরের গান্ধারীর কাছে এল একটা চিঠি, কী লেখা তাতে জানেন?

SIR Hearing In WB: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের খাসবার গ্রামের ওই এলাকার সব থেকে প্রবীন বৃদ্ধা বয়স আনুমানিক ১০২ বছর। এত বছর ধরে তিনি ভোট দিয়ে আসছে ২০০২ সালের ভোটার তালিকাতেও রয়েছে নাম। বর্তমানে এসআইআর তালিকায় নেই নাম, তাই শুনানিতে ডাকা হয়েছে।

SIR: স্বাধীন ভারতে প্রথম থেকে ভোট দিচ্ছেন, মেদিনীপুরের সেই ১০২ বছরের গান্ধারীর কাছে এল একটা চিঠি, কী লেখা তাতে জানেন?
১০২ বছরের বৃদ্ধাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2025 | 11:51 AM
Share

 মেদিনীপুর: ১০২ বছরের গান্ধারী জানার হাতে বিএলও ধরিয়ে দিয়েছেন এসআইআর-এর শুনানির নোটিস। হাতে নোটিস পেয়ে দুশ্চিন্তায় বৃদ্ধা।গান্ধারী জানার দাবি, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর থেকেই ভোট দিচ্ছেন। অর্থাৎ ১৯৫২ সালে দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে স্বামীর সঙ্গে প্রথম ভোট দিয়েছেন। তখন কাগজে ভোট ছিল। বার্ধক্যের কারণে পায়ে আর জোর নেই, তাই শুনানিতে যেতে পারবেন না ঘাটাল ব্লকের ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসবার গ্রামের বাসিন্দা গান্ধারী জানা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের খাসবার গ্রামের ওই এলাকার সব থেকে প্রবীন বৃদ্ধা বয়স আনুমানিক ১০২ বছর। এত বছর ধরে তিনি ভোট দিয়ে আসছে ২০০২ সালের ভোটার তালিকাতেও রয়েছে নাম। বর্তমানে এসআইআর তালিকায় নেই নাম, তাই শুনানিতে ডাকা হয়েছে। বাড়িতে দেওয়া হয়েছে নোটিস। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি বাড়ি থেকে কোথাও যাবেন না। তিনি বলেন, ” এতদিন ভোট দিয়েছি কোনও সমস্যা হয়নি। ভোটের সময় রাজনৈতিক দলের তরফে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে এবং তিনি ভোটও দিয়েছেন।আজ হঠাৎ নাম নেই শুনে তিনিও অবাক হয়েছেন। তবে বৃদ্ধা ও তার পরিবারের আক্ষেপ বৃদ্ধা এখনো মেলেনি কোন সরকারি ভাতা।”

সকলের দাবি, যদি বাড়িতে এসে ব্যবস্থা হয় ভাল, নাহলে তিনি নাম তুলতে যাবেন না। বৃদ্ধার বড় ছেলে নবকুমার জানাও বলেন, “মা কে বাড়ি থেকে এতদূর নিয়ে যাওয়া আসা সমস্যা, তাই বাড়িতে এসে শুনানির কাজ হলে হোক নাহলে নয়।”

বিএলও হীরা লাল সিংহ বলেন, “ডাটা নো ফাউন্ড দেখানোর কারণে শুনানির নোটিস দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি, যাতে বাড়িতে এসে কাজ করা হয়।” তবে এই সমস্যাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ  ১০২ বছর বয়সী বৃদ্ধা। এখনও তাঁর মুখে চওড়া হাসি।