
নয়াদিল্লি: আর তিনদিন পর বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে দিল্লিতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন একসময়ে তাঁর ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিক। শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে যান কোচবিহারের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় উঠেছে উত্তরবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতিও।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, একুশের নির্বাচনে ক্ষমতায় না এলেও ছাব্বিশের নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গ গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি। সেখানে আসন ধরে রাখাই বিজেপির লক্ষ্য। তাই, এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, নিশীথকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান শাহ-ই।
কোচবিহারে বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে নিশীথের। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন থেকে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হন। অমিত শাহের ডেপুটি হিসেবে কাজ করেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন। জিতেছিলেন। কিন্তু, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় না আসায় বিধায়ক হিসেবে পদত্যাগ করে সাংসদ পদ ধরে রাখেন তিনি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে ফের প্রার্থী হন। কিন্তু, তৃণমূলের জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার কাছে হেরে যান।
ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত হবে বলে দাবি করছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য ও শুভেন্দু অধিকারীরা বারবার বলছেন, তৃণমূলের ক্ষমতা থেকে যাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এসআইআর প্রক্রিয়ায় নজর রাখার কথাও বলছেন তাঁরা। কোচবিহারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। এই জেলায় অনুপ্রবেশকারী নিয়েও বিজেপি বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসআইআর ও অনুপ্রবেশ ইস্যুতে শাহর সঙ্গে নিশীথের কথা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর নিশীথ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “তাঁর সঙ্গে কথা বলে নতুন শক্তি পাওয়া যায় এবং অনুপ্রাণিত হই। মানুষের সেবার কাজ নিরন্তর চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা পাই।”