SIR in Bengal: কলকাতার ৬ আসনে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বাদ গেল বেশি নাম

Kolkata assembly seats: জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি নাম বাদ না গেলেও ফিরহাদ হাকিমের কেন্দ্রেও অনেক নাম বাদ গিয়েছে। একুশের নির্বাচনে কলকাতা পোর্ট কেন্দ্রে ৬৮ হাজার ৫৫৪ ভোটে জিতেছিলেন ফিরহাদ। তাঁর কেন্দ্রে খসড়া ভোটার তালিকায় ৬৩ হাজার ৭৩০ জনের নাম বাদ গিয়েছে।

SIR in Bengal: কলকাতার ৬ আসনে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বাদ গেল বেশি নাম
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 17, 2025 | 4:13 PM

কলকাতা: খসড়া ভোটার তালিকায় রাজ্যজুড়ে বাদ গিয়েছে ৫৮ লক্ষের বেশি নাম। কোন বিধানসভায় কত নাম বাদ গিয়েছে, সেই তথ্য সামনে এসেছে। আর বাদ পড়া নামের তালিকা খতিয়ে দেখতে গিয়েই দেখা গেল, কলকাতার ৬টি বিধানসভা আসনে একুশের নির্বাচনে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে। এই ৬টি আসন হল চৌরঙ্গী, কাশীপুর-বেলগাছিয়া, জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকুর, রাসবিহারী এবং বালিগঞ্জ।

কোন কোন আসনে কত নাম বাদ পড়ল?

কলকাতার ১১টি বিধানসভা আসনই তৃণমূলের দখলে। একুশের নির্বাচনে চৌরঙ্গীতে জিতেছিলেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ৪৫ হাজার ৩৪৪। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, এই কেন্দ্রে ৭৪ হাজার ৫৫৩ জনের নাম বাদ পড়েছে। একুশের নির্বাচনে জোড়াসাঁকো আসনে জিতেছিলেন বিবেক গুপ্তা। তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ১২ হাজার ৭৪৩। সেখানে খসড়া ভোটার তালিকায় ৭২ হাজার ৯০০ জনের নাম বাদ গিয়েছে।

তৃণমূলের আর এক হেভিওয়েট নেত্রী শশী পাঁজা একুশের নির্বাচনে শ্যামপুকুর আসনে জয়ী হন। তাঁর জয়ের ব্যবধান ২২ হাজার ৫২০। আর এই কেন্দ্রে খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ গিয়েছে ৪২ হাজার ৩০৩ জনের নাম। কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রে একুশের নির্বাচনে ৩৫ হাজার ৩৯০ ভোটে জিতেছিলেন অতীন ঘোষ। তাঁর কেন্দ্রে খসড়া ভোটার তালিকায় ৫৩ হাজার ৩৬০ জনের নাম বাদ গিয়েছে। তৃণমূলের আর এক হেভিওয়েট নেতা দেবাশিস কুমার একুশের নির্বাচনে রাসবিহারী কেন্দ্রে জিতেছিলেন। তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ২১ হাজার ৪১৪। সেখানে খসড়া ভোটার তালিকায় ৪২ হাজার ৫১৯ জনের নাম বাদ গিয়েছে।

কলকাতার আর যে আসনটিতে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে খসড়া ভোটার তালিকায় নাম বেশি বাদ গিয়েছে, সেই কেন্দ্রটি হল বালিগঞ্জ। এক্ষেত্রে অবশ্য উপনির্বাচনের নিরিখে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে ৭৫ হাজার ৩৫৯ ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর ২০২২ সালে উপনির্বাচন হয়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করে ঘাসফুল শিবির। উপনির্বাচনে ২০ হাজার ২২৮ ভোটে জেতেন বাবুল। গতকাল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, এই কেন্দ্রে ৬৫ হাজার ১৭১ জনের নাম বাদ গিয়েছে।

জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি নাম বাদ না গেলেও ফিরহাদ হাকিমের কেন্দ্রেও অনেক নাম বাদ গিয়েছে। একুশের নির্বাচনে কলকাতা পোর্ট কেন্দ্রে ৬৮ হাজার ৫৫৪ ভোটে জিতেছিলেন ফিরহাদ। তাঁর কেন্দ্রে খসড়া ভোটার তালিকায় ৬৩ হাজার ৭৩০ জনের নাম বাদ গিয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুর কেন্দ্রেও খসড়া ভোটার তালিকায় প্রায় ৪৫ হাজার নাম বাদ গিয়েছে। একুশের নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে জিতেছিলেন। পরে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে মমতা জেতেন ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে। ভবানীপুর কেন্দ্রে খসড়া ভোটার তালিকায় ৪৪ হাজার ৭৭০ জনের নাম বাদ গিয়েছে।

কলকাতার ৬টি আসনে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি নাম বাদ যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ছাব্বিশের নির্বাচনে এর কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে রাজনৈতিক দলগুলি। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর আগামী ২২ ডিসেম্বর দলের কলকাতার বিএলএ-দের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠক করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে, ছাব্বিশের নির্বাচনে কলকাতায় ভাল ফলের ব্যাপারে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “কলকাতার ১১টি আসনের মধ্যে খারাপ ফল হলে ৮টা। আর আমার হিসেব ঠিক হলে ৯টা আসনে জিতবে বিজেপি। যত দিন গিয়েছে, তৃণমূলের ভোট কমেছে কলকাতায়।”