SIR in Bengal: ‘আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছেন না’, CEO-র সঙ্গে বৈঠকে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ পার্থ

TMC delegates at CEO office: সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ ভৌমিক বলেন, "এনুমারেশন ফর্ম বিলির সময় বিএলও-র সঙ্গে ছিলেন বিএলএ-রা। তাহলে হিয়ারিংয়ের সময় থাকতে পারবেন না কেন? আমরা তো বলছি না, শুধু তৃণমূলের বিএলএ-রা থাকবেন। সব রাজনৈতিক দলের বিএলএ-রা থাকবেন। যদি বিএলএ-দের থাকতে না দেওয়া হয়, সেটা লিখিত জানাক। আমরা আইনি পদক্ষেপ করব।"

SIR in Bengal: আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছেন না, CEO-র সঙ্গে বৈঠকে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ পার্থ
CEO মনোজ আগরওয়াল (বাঁদিকে), পার্থ ভৌমিক (ডানদিকে) (ফাইল ফোটো)Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 29, 2025 | 5:09 PM

কলকাতা: এসআইআর প্রক্রিয়ার হিয়ারিংয়ে বয়স্কদেরও কেন অফিসে ডাকা হচ্ছে? কেন তাঁদের বাড়িতে যাচ্ছে না কমিশনের লোকজন? গতকালই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়আর সোমবার সিইও দফতরে গিয়ে এই নিয়ে অভিযোগ জানাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আর সেই অভিযোগ জানাতে গিয়েই সিইও মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যারাকপুর সাংসদ পার্থ ভৌমিক। বৈঠকের মাঝে সিইও-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা আমাদের সমস্যাগুলির কোনও সমাধান করছেন না। কোনও পদক্ষেপও করা হচ্ছে না।”

শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর-র হিয়ারিং পর্ব। ওইদিন সিইও দফতরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধি। সেখানে নানা অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। হিয়ারিং প্রক্রিয়ায় নানা অসুবিধা নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। গতকাল বিএলএ-২’দের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বয়স্কদের হিয়ারিংয়ে ডাকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছিলেন, সোমবার এই নিয়ে সিইও দফতরে যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

সেইমতো এদিন পার্থ ভৌমিক, শশী পাঁজারা সিইও দফতরে যান। সেখানে সিইও মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর ওই বৈঠকেই সিইও-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, বয়স্ক নাগরিকদের যে সমস্যাগুলি নিয়ে বারবার জানানো হয়েছে, সেগুলির এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান হয়নি। তৃণমূল সাংসদ বলেন, এই পরিস্থিতি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি আমাদের বিষয়টি জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে তুলে ধরা না হয়, তাহলে আমরা আগামিকাল আবার এখানে ফিরে আসব।”

সিইও-র সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ ভৌমিক বলেন, “CEO আমাদের বলেছেন, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবেন। বয়স্কদের বাড়িতে গিয়ে হিয়ারিংয়ের বিষয় নিয়ে আজকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সিইও।” যাঁরা রাজ্যের বাইরে রয়েছেন, তাঁদের ভার্চুয়ালি হিয়ারিংয়ের দাবিও জানান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।

হিয়ারিং প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-রা থাকতে পারছেন না। এই নিয়ে গতকাল ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, “হিয়ারিংয়ে তৃণমূলের বিএলএ-রা থাকবেন।” এদিন এই নিয়েও সিইও-র কাছে অভিযোগ করেন পার্থরা। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এনুমারেশন ফর্ম বিলির সময় বিএলও-র সঙ্গে ছিলেন বিএলএ-রা। তাহলে হিয়ারিংয়ের সময় থাকতে পারবেন না কেন? আমরা তো বলছি না, শুধু তৃণমূলের বিএলএ-রা থাকবেন। সব রাজনৈতিক দলের বিএলএ-রা থাকবেন। যদি বিএলএ-দের থাকতে না দেওয়া হয়, সেটা লিখিত জানাক। আমরা আইনি পদক্ষেপ করব।” পার্থ জানান, তাঁদের অভিযোগগুলি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে সিইও জানিয়েছেন। উত্তর না পেলে তাঁরা ফের সিইও দফতরে আসবেন বলে জানিয়ে দেন পার্থ।