Kolkata municipal corporation election 2021: ‘যেন কোনও সন্ত্রাসবাদীকে আটকাতে গিয়েছে’, শুভেন্দুর বাড়ি পুলিশ ঘিরে রাখার সমালোচনায় শমীক
Kolkata municipal corporation election 2021: রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়াচ্ছে পদ্ম শিবির।
কলকাতা : শহরের ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছি বঙ্গ বিজেপি। রবিবার দিনভর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধীদের এজেন্টরা বসতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। বোমা ফেটেছে। রক্ত ঝরেছে। আর এই নিয়েই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়াচ্ছে পদ্ম শিবির।
অভিযোগের পাহাড় বঙ্গ বিজেপির
রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য ভোটের নামে প্রহসনের অভিযোগ তুলে বলেন, “কলকাতা পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর জামাকাপড় ছেঁড়া হয়েছে। তাঁর এজেন্টের মুখ ফাটানো হয়েছে। ১ নম্বর বুথে বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয়েছে। সাতটি বুথ দখল করা হয়েছে।”
এই প্রথম আদালতের নজরদারিতে পুরভোট
বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভোটারদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, কোথাও কোনও ঝামেলা হবে না। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। কিন্তু ভোটের দিনে পুরো তার উল্টোটাই হয়েছে বলে অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই প্রথম কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচন আদালতের নজরদারিতে হচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ ও কমিশন আদালতকে আশ্বস্ত করেছিল যে নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে।”
শুভেন্দুর বাড়ি পুলিশ ঘিরে রাখার সমালোচনা
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সল্টলেকের বাসভবন পুলিশ ঘিরে রাখার ঘটনারও সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, “বিধাননগরে বিরোধী দলনেতার বাড়ি পুলিশে ঘিরে ফেলেছিল। যেন কোনও সন্ত্রাসবাদীকে আটকাতে গিয়েছে। কেন? নজিরবিহীনভাবে এমএলএ হোস্টেলের গেটে প্রশাসন তালা লাগিয়ে দিল। কেন? আইনসভার নির্বাচিত সদস্যদের এটুকু দায়িত্বজ্ঞান আছে যে তাঁরা কলকাতার ভোটার নন। তারা বেরিয়ে কাউকে প্রভাবিত করতেন না বা করেননি।”
ভোটে ভুড়ি ভুড়ি সন্ত্রাসের অভিযোগ বিজেপির
ভোটের নামে শহরজুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির। শমীক ভট্টাচার্য নির্বাচনী হিংসার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, “অনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী প্রহৃত। তাঁর নিজের সঙ্গে মানহানি করা হয়েছে। রাজর্ষি লাহিড়ী আক্রান্ত। পিজি ট্রিটমেন্ট করেনি। কামিনী খটিকের স্বামী আক্রান্ত। তাঁদের ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। টাকি স্কুলের সামনে বোমের আঘাতে একজনের অঙ্গহানি হওয়ার জোগাড়। অনেকেই আক্রান্ত। আজ প্রকৃত ভোটের হার প্রমাণ করে দিচ্ছে যে তৃণমূলের উপরে মানুষের কতটা আস্থা আছে। বিধানসভা নির্বাচনের একটা জয় সবকিছু উত্তর বা প্রমাণ হতে পারে না।”