Gujarat Assembly Election: সঙ্গী শাহ, গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে ছাপিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
Gujarat Assembly Election: মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও যা করে দেখাতে পারেননি, তাই ঘটল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড জয় বিজেপির।
আহমেদাবাদ: গুজরাটে আরও এক নির্বাচন এবং আরও একবার গেরুয়া ঝড়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের বিজেপি নেতাদের জন্য ১৪০ আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন। কার্যক্ষেত্রে সেই প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। এখনও গণনা সম্পূর্ণ হয়নি। তবে, বিজেপির ১৫০-র বেশি আসনে জয় নিশ্চিত। ১৯৮৫ সালে কংগ্রেস গুজরাটে ১৪৯ আসনে জিতেছিল। এদিন সেই রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে।
গুজরাট নির্বাচন ২০২২-এর ফল
বিজেপি জয় পেয়েছে ১৫৬টি আসনে। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১৭টি আসন। আর এবারই প্রথম গুজরাটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আম আদমি পার্টি পেয়েছে ৫টি। আর অন্যান্যরা পেয়েছে ৪টি।
ভোট প্রাপ্তির হার
বিজেপি ভোট প্রাপ্তির হার ৫২.২ শতাংশ। আর কংগ্রেস ও আপ পেয়েছে যথাক্রমে ২৭.২৯ শতাংশ এবং ১২.৯১ শতাংশ ভোট। ২০১৭ সালে বিজেপির ভোট প্রাপ্তির হার ছিল ৪৯.১ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪১.৪ শতাংশ ভোট।
মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে ছাপিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
বস্তুত, কংগ্রেস-আপকে পরাস্ত করাই নয়, বিজেপির এবারের নির্বাচনী সাফল্য ছাপিয়ে গিয়েছে গত কয়েকবারের বিজেপির ফলাফলকেও। এর আগে গুজরাটে বিজেপির সর্বোচ্চ আসন প্রাপ্তি ঘটেছিল ২০০২ সালে। গোধরা কাণ্ডের কয়েক মাস পরই হওয়া সেই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি পেয়েছিল ১২৭ টি আসন। কাজেই বলা যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পিছনে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আদিবাসী গড়ে জয়
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, গুজরাটের প্রতিটি এলাকাতেই ভাল ফল করেছে গেরুয়া শিবির। এমনকী, দীর্ঘদিনের অধরা আদিবাসী এলাকাতেও এবার ঝলমল করছে পদ্ম। গত প্রায় সাত দশক ধরেই গুজরাটের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলি ছিল কংগ্রেসের দখলে। এমনকি ২০১৭ সালেও এই অঞ্চলের ২৭টি আসনের মধ্যে মাত্র ৮টিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি। ১৫টিতেই জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু, এবার ২৮ আসনের মধ্যে ২৭টিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি।
মোদী-শাহ ম্যাজিক
গুজরাটের মানুষ এবারও মোদীতে আস্থা রেখেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, এই নিয়ে কোনও বিতর্কের জায়গা নেই। প্রচার পর্বে রাজ্যে ৩১টি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে আরও দুটি বিরাট রোড শো। সেই সকল জনসভায় তিনি গুজরাটি অস্মিতা, জাতীয়তাবাদ, উন্নয়ন এবং শান্তির বার্তায় কাছে টেনেছিলেন মানুষকে। কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। অন্যদিকে, দিনের পর দিন রাজ্যে পড়ে থেকে গুজরাটে দলের প্রচার পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করেছেন অমিত শাহ।