Kolkata municipal corporation election 2021: কলকাতার বাতাসে ‘বিষ’, তার দায়ও মুখ্যমন্ত্রীর ঘাড়েই ঠেললেন শুভেন্দু!
Suvendu Adhikari: শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। যা শুক্রবারের কলকাতা শহরে বাতাসের গুণমান সূচক। শুভেন্দু লেখেন, ‘বাতাসের গুণমান সূচক (AQI) : 309। বাতাসের গুণগত মান: অত্যন্ত ক্ষতিকর।’
এরপরই শহরের এই খারাপ বাতাসের সঙ্গে মিলিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাকে। শুভেন্দু অধিকারীর সংযোজন, ‘এই মুহুর্তে কলকাতা শুধুমাত্র দেশের নয়, সারা বিশ্বেরও অন্যতম দূষিত শহর হয়ে উঠেছে। বিষাক্ত হয়ে উঠেছে কলকাতার বাতাস। অথচ রাজ্যের পরিবেশ দফতরের ও পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের বিশেষ গরজ নেই। কারণ মুখ্যমন্ত্রী নিজের দলের সম্প্রসারণে ব্যস্ত। কলকাতার সচেতন নাগরিকগণ ভোট দেওয়ার আগে এই বিষয়টা একটু ভেবে দেখবেন যে কাদের উদাসীনতায় এই বিষ শরীরে প্রবেশ করছে।’
কিছুদিন আগে আইকিউ এয়ার (IQAir) নামে সুইৎজারল্যান্ডের এক সংস্থা দূষণ সংক্রান্ত এক তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে তারা জানায়, বিশ্বের যে ১০ শহরে বাতাসের গুণমান অত্যন্ত খারাপ তার মধ্যে রয়েছে ভারতের তিন শহর- দিল্লি, কলকাতা ও মুম্বই। দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ৫৫৬। কলকাতার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ১৭৭ এবং মুম্বইয়ের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ১৬৯। দিল্লি তালিকায় প্রথমে থাকলেও কলকাতা ও মুম্বই রয়েছে যথাক্রমে চতুর্থ ও ষষ্ঠ স্থানে। কলকাতায় বাতাসের এই খারাপ পরিস্থিতিকেও ভোটের প্রচারে হাতিয়ার করল বিজেপি।
কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোট হবে রবিবার ১৯ ডিসেম্বর। ২১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোটের গণনা। শহরজুড়ে এখন আইনের কড়াকড়ি। পুলিশের রুটমার্চ, নাকাচেকিং চলছে সর্বত্র। ভোটে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য সবরকম প্রস্তুতি সারা বলেই জানিয়েছেন কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্র। শুক্রবার রাতেই তিনি শহরের ডিসি অফিসগুলিতে গিয়েছেন।
অন্যদিকে ভোটে কোনওরকম ঝামেলা হলে গোটা রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কলকাতা পুরনিগমে মারামারি করে ভোট লুঠ করতে চায়। সমস্ত বিধায়করা লোক জড়ো করে রাস্তায় বসে থাকবেন ১৯ তারিখ। আমাদের একটা কর্মীর গায়ে যদি হাত পড়ে কোনও এজেন্টের গায়ে যদি হাত পড়ে শুভেন্দুদা থেকে শুরু করে প্রত্যেক বিধায়ক, প্রত্যেক জেলা সভাপতি রাস্তায় বেরিয়ে সেদিন পশ্চিমবঙ্গকে অচল করে দেবে। পশ্চিমবঙ্গকে স্তব্ধ করে দেবে।”
একই সুরে শুভেন্দু অধিকারীও বলেন, “এবার রাস্তায় বোমা ফাটিয়ে হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের নিচে তালা চাবি লাগিয়ে দিয়ে যদি ভোট লুঠ করা হয় তা হলে গোটা রাজ্যে রাস্তার উপরে বসে পড়তে হবে। রাস্তার পাশে আর না। অচল করতে হবে এই রাজ্যকে। রাজ্যকে স্তব্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইতে ছাড়া যাবে না।”