Kolkata Municipal Corporation Election 2021: রক্তের সম্পর্ক বনাম আত্মার সম্পর্ক! ‘সুব্রত আবেগ’ উস্কে শেষবেলার প্রচার সারছেন সুদর্শনা

kmc election 2021: প্রথম থেকেই ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড শিরোনামে। এই ওয়ার্ডে প্রথমে বিদায়ী কাউন্সিলর সুদর্শনাকে টিকিটই দেয়নি দল।

Kolkata Municipal Corporation Election 2021: রক্তের সম্পর্ক বনাম আত্মার সম্পর্ক! 'সুব্রত আবেগ' উস্কে শেষবেলার প্রচার সারছেন সুদর্শনা
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই প্রচারের মুখ ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুই প্রার্থীর। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2021 | 12:49 PM

কলকাতা: শেষবেলার প্রচারে সকলেই যখন নিজেদের দিকে লাইমলাইম রাখার চেষ্টা করছেন , ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরেও তখন জোর চর্চা। এই ওয়ার্ডের প্রার্থী সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় কলকাতা পুরভোটের প্রচারের শেষ লগ্নে এসে ফেসবুক পোস্টে বোঝালেন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই তাঁর পথ প্রদর্শক। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও তাঁদের আত্মার যে সম্পর্ক তা চিরস্থায়ী।

এদিন সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় ফেসবুকে লেখেন, ‘তুমি রবে নীরবে…। রাজনীতিতে আমার হাতেখড়ি তোমার হাতেই। তোমার দেখানো পথেই রাজনীতিতে শুরু হয়েছিল আমার পথচলা। ২০১৫ সালে অনভিজ্ঞ, অচেনা সুদর্শনাকে রাজনীতির ময়দানে প্রতিষ্ঠা পেতে তুমিই সাহায্য করেছিলে। ছাত্রী সুদর্শনা সর্বদা তোমার দেখানো পথ অনুসরণ করে প্রতিটি অগ্নিপরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে। কোভিড মহামারী থেকে আম্ফান বিপর্যয়, তোমার শেখানো রাস্তাতেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এবার সামনে বড় পরীক্ষা। শেষদিন ওপেন জিম উদ্বোধন করতে এসেও তুমি বলেছিলে সামনে বড় পরীক্ষা, সুদর্শনা তৈরি হও। রসিকতা পছন্দ করতে, কোনওদিনও অভিনয় ও অতি নাটকীয়তা পছন্দ করতে না। কথায় বলে রক্তের সম্পর্কে আত্মীয় হয় না। আত্মার সম্পর্কে আত্মীয় হয়। তুমি আজ নেই। তবুও তোমার প্রতি বিশ্বাস, ভালবাসা, শ্রদ্ধা চিরদিন থাকবে। দূরে চলে গিয়েও তুমি থাকবে হৃদয়ে….। তুমি অন্তরাল থেকেও আমাকে আশীর্বাদ করবে। অন্য জগতেও তুমি ভাল থেকো।… সুদর্শনা।’

এই লেখার সঙ্গে একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেন সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়। তাতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর ছবির কোলাজ। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম’ গানটি। এই পোস্ট যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ তেমনটাই মনে করছেন দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের একাংশ। প্রথম থেকেই ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড শিরোনামে। এই ওয়ার্ডে প্রথমে বিদায়ী কাউন্সিলর সুদর্শনাকে টিকিটই দেয়নি দল।

প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা হয়েছিল। তনিমাদেবীর দেওয়াল লিখন থেকে পথে নেমে প্রচার শুরু হয়ে যাওয়ার পরই হঠাৎ দল জানায় তাঁকে জোড়াফুল প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। কে প্রতীক পাচ্ছে তা স্পষ্ট করে তৃণমূলের তরফে না জানানো হলেও, পরে দেখা যায় সেই সুদর্শনাকেই দল প্রার্থী করেছে।

এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর কম হয়নি। তনিমাদেবী রাগে নির্দলের প্রার্থী হন ওই ওয়ার্ডেই। জোড়া পাতা চিহ্নে ভোটে দাঁড়ান তিনি। অন্যদিকে তনিমাদেবীকে বহিষ্কারের কথা জানায় তৃণমূল। প্রচারে নেমে বেশ কয়েকবার সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের লোকজনের বিরুদ্ধে তিনি বাধাদানের অভিযোগও তুলেছেন। এমনকী জোড়া পাতা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থনে লেখা দেওয়ালও মুছে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তনিমাদেবী। একই সঙ্গে তনিমাদেবীর প্রচারে ব্যানার ফেস্টুনে লেখা আছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ‘নিজের বোন’ শব্দ দু’টিও।

সূত্রের খবর, তনিমাদেবী শ্বশুরবাড়ির পদবি ব্যবহার করেন। অন্যদিকে সুদর্শনার পদবিও মুখোপাধ্যায় হওয়ায় অনেকে তাঁকে সুব্রতবাবুর নিজের বোন ভেবে ভুল করেন। সে কারণেই নাকি তনিমাদেবী এবার প্রচারে ‘নিজের বোন’ কথাটি লিখেও দেন। তবে কি বৃহস্পতিবার সুদর্শনা ফেসবুক পোস্টে রক্তের সম্পর্ক নয়, আত্মার সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলে তনিমাদেবীকেই খোঁচা দিয়ে রাখলেন, উঠছে সে প্রশ্নও।

আরও পড়ুন: ‘আমাকে না জানিয়ে বেশ কিছু কনস্ট্রাকশন করে দিয়েছ’, প্রকাশ্যে ববিকে বার্তা মমতার