Meghalaya Assembly Election 2023: কংগ্রেস, বিজেপিকে পিছনে ফেলে ত্রিশঙ্কু মেঘালয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এল তৃণমূল

TMC in Meghalaya: ২০২৩ সালে লড়াই করে প্রায় ১৩.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। যা গত বারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে মেঘালয়ে মাত্র ০.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।

Meghalaya Assembly Election 2023: কংগ্রেস, বিজেপিকে পিছনে ফেলে ত্রিশঙ্কু মেঘালয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এল তৃণমূল
মেঘালয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2023 | 8:18 PM

শিলং: মেঘালয়ে প্রত্যাশা মতো ফল হল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে এই প্রথম বার মেঘালয়ে খাতা খুলতে সমর্থ হয়েছে ঘাসফুল শিবির। জিতেছে পাঁচটি আসন। পেয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট। যদিও এর জেরে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে ওঠার মতো জায়গায় যেতে পারেনি তৃণমূল। বৃহস্পতিবার মেঘালয়ের ৬০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। কোনওদলই সেখানে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। ত্রিশঙ্কু ফল হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। মেঘালয়ে সবথেকে বেশি ভোট আসন পেয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। মোট ২৬টি আসন পেয়েছে তারা। যা গত বারের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে ৬টি বেশি। ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি (ইউডিপি) ১১টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। গত বারের থেকে পাঁচটি আসন বেশি পেয়েছে নাগাল্যান্ডের এই আঞ্চলিক দল। তবে মেঘালয়ে ধসে গিয়েছে কংগ্রেস। ২১টি আসন থেকে ৫টি আসনে নেমে এসেছে তারা। তৃণমূলও প্রথম বার লড়ে পেয়েছে ৫টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ২টি আসন। অন্যান্যরা পেয়েছে ১০টি আসন।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে কয়েক আসন কম থাকলেও মেঘালয়ে সরকার গড়ার পথে এগিয়ে রয়েছে এনপিপি। সেখানকার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ও এনপিপি প্রধান কনরাড সাংমা সরকার গড়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাহায্য চেয়েছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ভোটের ফল প্রকাশের পর করা এক টুইটে এনপিপি-কে সাহায্যের কথাও বলেছেন। তবে বিজেপির ২টি আসন পেলেও ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে আরও কয়েক জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন।

মেঘালয়ের ৬০ আসনের মধ্যে ৫৬টিতে লড়াই করেছিল তৃণমূল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়েছিলেন মেঘালয়ে ভোট প্রচারে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘন ঘন মেঘালয়ে উপস্থিতি নজর কাড়ত। কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন বিধায়ক যোগও দিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরে। ২০২৩ সালে লড়াই করে প্রায় ১৩.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। যা গত বারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে মেঘালয়ে মাত্র ০.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। সেই নিরিখে দেখলে আশা মতো ফল না হলেও মেঘালয়ে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছে তৃণমূল। এমনকি ভোট শতাংশের নিরিখে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মতো দুই জাতীয় দলকে পিছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে মমতার সৈনিকরা। এই জয়ের পর মেঘালয়ের তৃণমূল বিধায়কদের অভিনন্দন জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ে ভোটের কাজে-যাওয়া তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ জোর দিয়ে বলছিলেন, তাঁরা সেখানে বিজেপি এবং কংগ্রেসের চেয়ে বেশি আসন পাবেন। ফলে সে দিক দিয়েও তাঁরা ‘সফল’। মেঘালয়ের দুবারের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলের হয়ে। প্রাক্তন স্পিকার চার্লস পিংরোপেও দাঁড়িয়েছিলেন ঘাসফুল প্রতীকে। দু’জনই জয়ী হয়েছেন।