Municipality Elections 2022: মধ্যরাতে বাড়িতে বোমাবাজি, চলল গুলিও! তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীকোন্দলে’ উত্তপ্ত ভেটাগুড়ি
Municipality Elections 2022: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছিল। সেটি মূলত এলাকার দখলকে কেন্দ্র করেই। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে অঞ্চল সভাপতি সুনীল চন্দ্র রায়।
কোচবিহার: রাতভর বোমাবাজিতে উত্তপ্ত ভেটাগুড়ি। নেপথ্যে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীকোন্দল’। বুধবার গভীর রাতে তৃণমূল কর্মী দীপক চন্দ্র বর্মনের বাড়িতে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। এমনকি ওঠে গুলিচালনার অভিযোগও। পাশাপাশি তাঁর বাড়ির গোলাতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুরভোটের আগেই এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে অঞ্চল সভাপতি সুনীল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে।
সুনীল চন্দ্র রায় বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার অনুগামী বলে পরিচিত। অপরদিকে দীপক চন্দ্র বর্মন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। দীপক চন্দ্র বর্মনের অভিযোগ, বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে তাঁরা শুতে চলে গিয়েছিলেন। আচমকাই বাড়ির সামনে একটি বোমা পড়ার শব্দ শুনতে পান। তারপর চিৎকার চেঁচামেচি, তাঁর নাম ধরে গালি দেওয়ার অভিযোগ। এরপর তাঁর বাড়িতে আরও দুটি বোমা পড়ে। তারমধ্যে একটি ফাটে, অপরটি ফাটে না। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরের পাশের গোলাটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।
বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডবের পর দুষ্কৃতীরা চলে যায়। যাওয়ার সময়ে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। রাতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। সকাল থেকেও এলাকা থমথমে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত ।
দীপকচন্দ্রের অভিযোগ, এর পিছনে অঞ্চল সভাপতি সুনীল চন্দ্র রায়ের হাত রয়েছে। দীপক চন্দ্র বলেন, “রাত ২.২০ মিনিটে সতেরো থেকে আঠেরো জন বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ির উঠোন থেকে ২ রাউন্ড গুলি চালায়। তিনটি বোমা ছোড়া হয়। দুটো ফাটে। এখানে একটা পড়ে ছিল, ফাটেনি। জানলা ভেঙে যায়। প্রাণভয়ে লুকিয়ে ছিলাম। এখানকারই লোক সব। আমরা তৃণমূল করি, ওরাও তৃণমূল করে। আমি ওদের নামে অভিযোগ করেছিলাম, তারাই হামলা করেছে। যে সভাপতি সুনীল রায় সরকারের নেতৃত্বে জঙ্গলরাজ চলছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছিল। সেটি মূলত এলাকার দখলকে কেন্দ্র করেই। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে অঞ্চল সভাপতি সুনীল চন্দ্র রায়। তাঁর বক্তব্য, “এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জন্যই এই হামলা। ভাইয়ে ভাইয়ে গণ্ডগোলে এসব হয়েছে। পারিবারিক সমস্যাকে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা চলছে।”