নয়া দিল্লি: চলতি মাসেই বিস্ফোরণ কেঁপে উঠেছিল লুধিয়ানা আদালত চত্বর। এবার সেই বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তেই ভিন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএর একটি দল। জানা গিয়েছে, জার্মানিতে গিয়ে জঙ্গি সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তিকে জেরা করবেন এনআইএ আধিকারিকরা। শুক্রবার, তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জসবিন্দর সিং মুলতানির সঙ্গে লুধিয়ানা আদালত বিস্ফোরণের যোগ রয়েছে।
এনআইএ-র ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মুলাতানিকে ভারতে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তার আগে মুলতানি ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ও ভারতীয় দণ্ড সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হবে। শিখ ফর জাস্টিস একটি পরিচিত জঙ্গি সংগঠন। ভারতে এই সংগঠনের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ। এনআইএ আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই খালিস্তানের সমর্থনকারী জঙ্গিরা পঞ্জাবের যুব সমাজকে জঙ্গি সংগঠনে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করে। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই চলে মগজধোলাই। সামনেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে নতুন করে রাজ্যেই আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে এই সংগঠন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।”
“মুলতানিকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে জার্মান পুলিশ এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁকে নজরে রাখা হয়েছে। এফআইআর দায়েরের পর, এনআইএর একটি দল জার্মানিতে গিয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। আমাদের কাছে লুধিয়ানা বিস্ফোরণে ওই ব্যক্তির যুক্ত থাকার জোরালো প্রমাণ মিলেছে। আমরা জানতে পেরছি, ভারতে আরও বেশ কিছু আক্রমণের পরিকল্পনাও করেছিলেন তাঁরা।” মুলতানির গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শিখ ফর জাস্টিসের গুরপতবন্ত সিং পান্নু জানিয়েছেন, মুলতানিকে আটক করা হয়েছে, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই পঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police)-র তরফে জানানো হয়েছিল, গত ২৩ ডিসেম্বর পঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলা আদালতে যে বিস্ফোরণটি হয়েছিল, তা ঘটিয়েছিল গগনদীপ সিং নামক এক ব্যক্তি। তিনি প্রাক্তন পুলিশকর্মী। তিনি হেড কন্সটেবল ছিলেন, কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। মাদক পাচার কাণ্ডে তিনি মদত দিতেন, এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, দুই বছরের জন্য জেলেও পাঠানো হয় তাঁকে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। লুধিয়ানা বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তে নেমে গতকালই পঞ্জাবের সেন্ট্রাল জেলে পৌঁছেছিল তদন্তকারী দল। সেখান থেকে ৭টি ফোন উদ্ধার করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, উদ্ধার হওয়া ওই ফোনগুলির মধ্যে বেস কয়েকটি ব্যবহার করেছিল বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত গগনদীপ।
আরও পড়ুন Fake documents: জাল নথি বানিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকতে সাহায্য! শ্রীঘরে গুণধর