নয়া দিল্লি: উত্তর প্রদেশে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটযুদ্ধ (Uttar Pradesh Assembly Election 2022)। আগামী রবিবারই তৃতীয় দফায় প্রার্থীদের ভাগ্যপরীক্ষা হবে। একইসঙ্গে সেইদিনই পঞ্জাবেও রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন (Punjab Assembly Election 2022)। ভোটের আগে শেষ মুহূর্তে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে শাসক ও বিরোধী দলগুলি। বৃহস্পতিবার ভোটমুখী দুই রাজ্যকে একযোগে বার্তা দিতে ময়দানে নামেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তুলে ধরেন নারীশক্তির ইস্যুকে। পঞ্জাবের একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টিকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন যে, সমাজবাদী পার্টি তিন তালাক বাতিল করার বিরোধিতা করেছিল। যারা তাদের ভোট দিয়েছিল, তাদেরও উন্নয়ন চায় না অখিলেশের দল, এমনটাই দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ ও পঞ্জাবের মুসলিম ভোটারদের উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আজ দেশের প্রতিটি কোণা থেকে আমি মুসলিম বোন ও মেয়েদের ভালবাসা পাচ্ছি। কারণ আমি তাদের সুরক্ষা দিতে একটা দারুণ কাজ করেছি। আমার মা-বোনেরা, একবার ভাবুন তো ওই তৎক্ষণাত বিবাহ বিচ্ছেদের কী প্রভাব, চাপ তৈরি হত। তারা কোথায় যেত? একবার ভাবুন তো অভিভাবকদের উপর কী চাপ সৃষ্টি হত… মা, ভাইদের মানসিক পরিস্থিতি কী হত, যখন তাদের মেয়েদের এইধরনের বিবাহ বিচ্ছেদের পর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত।”
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে মোদী বলেন, “আমি কি শুধুই ভোটের কথা, আমার গদির কথা ভাবি নাকি এই দেশ ও তার জনগণের কথা ভাবি…..কিন্তু ওরা এই তিন তালাক বাতিল করার সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেছে।”
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে শাসক দল বিজেপির অন্যতম প্রতিপক্ষ সমাজবাদী পার্টিই। একদিকে বিজেপির ঝুলিতে যেমন হিন্দু ভোটের একটা বড় অংশ থাকে, তেমনই সপার সমর্থকদের একটা বড় অংশই মুসলিম ভোটাররা। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় দফায় উত্তর প্রদেশে নির্বাচন হতে চলেছে। এই দফায় ভোটারদের একটি বড় অংশই মুসলিম, সেই কারণেই রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারেও মুসলিমদের জন্য নানা সুযোগসুবিধা থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিশ্রুতিই ঠাঁই পাচ্ছে।
অন্য়দিকে, শুধুমাত্র গতকালই নয়, উত্তর প্রদেশের প্রথম দফার নির্বাচন শুরুর আগেও মুসলিম ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে ভোট প্রচারে গিয়েও তিনি তিন তালাকের প্রসঙ্গ টেনে মুসলিম মা-বোনেদের মন জয় করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এত প্রশংসা হওয়ায়, পেটে ব্যাথা শুরু হয়েছে সপা ও কংগ্রেসের।”
আরও পড়ুন: Singapore Prime Minister: প্রধানমন্ত্রী নেহরুর নাম নেওয়ার পরই সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনারকে তলব ভারতের
আরও পড়ুন: Manmohan Singh: ‘সীমান্তে বসে আছে চিন’, মনমোহনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলল কেন্দ্র