Amarinder Singh on Punjab Mob Lynching: ‘বেআইনি ও অনস্বীকার্য’, অতীত ভুলেই জোড়া হত্যার সমালোচনায় সরব অমরিন্দর

Punjab Mob Lynching: গত সপ্তাহেই অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি প্রার্থনা চলাকালীন ব্যরিকেড টপকিয়ে পবিত্র তরবারি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

Amarinder Singh on Punjab Mob Lynching: 'বেআইনি ও অনস্বীকার্য', অতীত ভুলেই জোড়া হত্যার সমালোচনায় সরব অমরিন্দর
গণপিটুনি ও হত্যার সমালোচনা করলেন অমরিন্দর সিং। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2021 | 8:59 AM

চণ্ডীগঢ়: নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত গোটা পঞ্জাব (Punjab)। শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত ও ধর্মীয় অবমাননার উদ্দেশ্যে অমৃতসর (Amritsar) ও কপূরথালায় (Kapurthala) যে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির হামলা এবং গণপিটুনী(Mob Lynching)-তে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুললেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। দুই ব্যক্তির খুনের ঘটনাকে তিনি “বেআইনি ও অনস্বীকার্য” বলে অ্যাখ্যা দেন।

আর কয়েক মাস পরই বিধানসভা নির্বাচন(Punjab Assembly Election 2022)। ঠিক তার আগে গুরুদ্বারে হামলা এবং ধর্মীয় গ্রন্থ ও পতাকাকে অসম্মান করার ঘটনাকে ঘিরেই উত্তাল পঞ্জাব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এই বিষয়ে বলেন, “ধর্মীয় অবমাননা অনুচিত, কিন্তু কোনও মানুষকে খুন করাও সঠিক হতে পারে না। এভাবে কী করে হয়? আইন ব্যবস্থা রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরে শিরোমণী গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির কাছে জেরা করার জন্য নিয়ে গিয়ে খুন করা হল। এটা কি ধরনের পদ্ধতি? এটা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি এবং অনস্বীকার্য। গণপিটুনির ঘটনায় কোনও ব্যাখ্যা বা সাফাই হয় না।”

গুরুদ্বাকে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনার পিছনে শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে তৈরি ক্ষোভ বা ২০১৫ সালের ধর্মীয় অবমাননার ঘটনা জড়িত কিনা, সে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে, অমরিন্দর সিং সাফাই দিয়ে জানান, প্রথমবার যখন এই ধরনের কাণ্ড সামনে আসে, তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সিবিআইয়ের কাছ থেকে তদন্তভার সরিয়ে নেওয়ার জন্যও দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়তে হয়েছিল। যখন তদন্ত শুরু হয়েছিল, সেই সময় পুলিশ সহ মোট ২২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে তারা জামিনে মুক্ত।

গত সপ্তাহেই অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি প্রার্থনা চলাকালীন ব্যরিকেড টপকিয়ে পবিত্র তরবারি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাকি পুণ্যার্থীরা তাঁকে ধরে ফেলে এবং এসজিপিসির কাছে নিয়ে যায়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই গুরুদ্বারের অফিস থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ বের করার ছবি ক্য়মেরাবন্দি হয়। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।

এরইমাঝে কপূরথালাতেও একইধরনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাতেও গণপিটুনিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতদ দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন রাজনীতির পারদ চড়ছে, তেমনই পুলিশি তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এফআইআর দায়ের হওয়ার পরও বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেওয়াকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলছেন না কংগ্রেস, বিজেপি, আম আদমি পার্টি বা শিরোমণি আকালি দলের মতো বড় দলগুলিও। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটে কেবল লেখেন, “২০১৪ সালের আগে গণপিটুনি শব্দটি ছিল না”। মোদী সরকারের সমালোচনা করলেও তিনি পঞ্জাবের জোড়া হত্যার ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি।

আরও পড়ুন: Derek O’Brien on Suspension: ‘ফুটেজ দেখান আমায়’, সাসপেন্ড হয়েও কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ডেরেকেরla News

আরও পড়ুন: Expected Omicron Wave: আগামী বছরই আছড়ে পড়বে ওমিক্রনের ঢেউ, সংক্রমণের হার নিয়ে পূর্বাভাস বিজ্ঞানীদের