PM security breach: পঞ্জাবে নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে বিক্ষোভ, বিঘ্নিত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা
Security Breach: প্রধানমন্ত্রী দেশের অন্যতম হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রীর জীবনহানি হওয়ার সম্ভাবনার কারণে তাঁর নিরাপত্তার ওপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়।
ভাটিন্ডা: গত ১৯ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর, সংসদ অধিবেশনের প্রথমদিনই নিয়মমাফিক আইন প্রত্যাহার করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। কৃষি আইন বাতিলের পর এই প্রথম পাঞ্জাব সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর পাঞ্জাব সফর ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক জল্পনা ছিল, কিন্তু সফরের দিনই তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, সকালেই ভাটিন্ডা তে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। সেখান থেকে হুসেনিওয়ালাতে জাতীয় শহীদ স্মৃতি সৌধে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। হেলিকপ্টার করে সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা না থাকায় সড়ক পথেই হুসেনিওয়ালার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে তাঁর কনভয় যখন একটি ব্রিজের উপর পৌঁছয়, তখন দেখা যায় যে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী অবরোধ করেছে। ওই ব্রিজের উপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকরা।
প্রধানমন্ত্রী দেশের অন্যতম হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রীর জীবনহানি হওয়ার সম্ভাবনার কারণে তাঁর নিরাপত্তার ওপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী যখন অন্য কোথাও যান, সেই সময় নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল বন্ধ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের হাঁটা-চলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এহেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি সম্পর্কে আগেভাগেই পঞ্জাব সরকারকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যাতে কোনরকম ভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় বন্দোবস্ত করার কথা ছিল সরকারের। রাস্তায় কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজ্য সরকারের পুলিশের উচিত ছিল বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা। দৃশ্যতই, ওই ব্রিজে বাড়তি কোনো পুলিশ বাহিনী লক্ষ্য করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে তাঁকে পুনরায় ভাটিন্ডা বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা হয়। ইতিমধ্যে, পঞ্জাব সরকারের কাছে এই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে।”
স্বাভাবিকভাবেই, নির্বাচনের আগে পঞ্জাব সরকারের এই ধরনের অভিযোগ, কংগ্রেসে বিড়ম্বনা বাড়াবে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা কোনভাবেই ছোট করে দেখতে রাজি নয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আগামী দিনে এই ঘটনায় কোন পদক্ষেপ এর পথে হাঁটে নয়াদিল্লি সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন J&K Encounter: বছরের প্রথম সপ্তাহেই একের পর এক সাফল্য জঙ্গি দমন অভিযানে, পুলওয়ামায় খতম ৩ জইশ জঙ্গি