AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rajpur Sonarpur Municipality Elections 2022: ১৪ জন নির্দল প্রার্থী, সিংহভাগই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা! রাজপুর-সোনারপুরে এবার অন্য সমীকরণ

Rajpur Sonarpur Municipality Elections 2022: কেউ প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন, এ বার টিকিট পাননি। কেউ নিজে থেকেই নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। আবার কোনও তৃণমূল নেতা তাঁর কোনও অনুগামীকে গোঁজ হিসেবে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।

Rajpur Sonarpur Municipality Elections 2022:  ১৪ জন নির্দল প্রার্থী, সিংহভাগই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা! রাজপুর-সোনারপুরে এবার অন্য সমীকরণ
১৪ জন নির্দল প্রার্থীর বেশিরভাগই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2022 | 4:28 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভায় ১৪ জন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন পত্র পেশ করেছেন। তাঁদের বেশিরভাগই তৃণমূলের বলে সূত্রের খবর। কেউ প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন, এ বার টিকিট পাননি। কেউ নিজে থেকেই নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। আবার কোনও তৃণমূল নেতা তাঁর কোনও অনুগামীকে গোঁজ হিসেবে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। এবারের পুরভোটে অন্য সমীকরণ রাজপুর সোনারপুর পৌরসভায়।

রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ১৪ জন। যাঁদের বেশিরভাগই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করার পরও, তাঁদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।  টিকিট না পেয়ে পুর এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলরা। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়বেন বলে অনেকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তবে পিছুও হটেছেন অনেকে।

অনেকেই আবার নিজের অনুগত অনুগামীকে ভোটে দাঁড় করিয়েছেন। কেউ আবার নিজের স্ত্রীকে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে পুর ভোটে নির্দল প্রার্থী তালিকা নিয়ে সরগরম রাজপুর সোনারপুর পুর এলাকা।

রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি উত্তম দাস টিকিট না পেয়ে দলত্যাগ করেছেন। নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন তিনি। উত্তম দাস বলেন, “আমাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। আমি দাঁড়াইনি। আমার যাঁরা সহকর্মী, তাঁরা বলেছেন, তুমি কোনও দল করতে যাবে না, নির্দল হিসাবে দাঁড়াও। মানুষ যে রায় দেবে, সেটা মেনে নেবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।”

তেমনিভাবেই বিক্ষুব্ধ রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর কার্তিক বিশ্বাসও। টিকিট না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নির্দল হিসাবে তাঁর অনুগামীকে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “নির্দল হিসাবে লড়াব। আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত,জয় হবে। আমার বাড়িতে লোকজন আসছে। ১৯৯৪ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের সঙ্গী। আমি সমস্ত খারাপ পরিস্থিতিতে থেকেছে। মুকুল রায় এখানে দাঁড়িয়ে বলে গিয়েছিলেন, দেখো তোমাদের পিছনে টাকা ঢালা যাবে না। সংগঠনক একার হাতে সাজাবে। তাই করে এসেছি এতদিন। আমি অপমানিত হয়েছি।”

যদিও সেসবে আমল দিতে নারাজ বিরোধীরা। এক্ষেত্রে বিজেপির বক্তব্য, “এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এতে আমাদের কী বলার থাকতে পারে। আমরা নির্বাচনী লড়াইটা রাজনীতির আঙ্গিকেই লড়তে চাই। সেভাবেই লড়ব। এতে আমাদের কিছু যায় আসে না।”