নির্বাচনের আগেই ফের আয়কর হানা, ‘টাকা বিলি’র অভিযোগে এ বার নজরে স্তালিন-জামাতা

ডিএমকে(DMK) নেতা এমকে স্তালিন(MK Stalin)-র হয়েই কাজ করেন তাঁর জামাই সবরীসান(Sabareesan)। শুক্রবার সকাল থেকেই সবরীসানের নামে থাকা চেন্নাইয়ের মোট চারটি জায়গায় হানা দেয় আয়কর আধিকারিক(Income tax Officials)-রা।

নির্বাচনের আগেই ফের আয়কর হানা, 'টাকা বিলি'র অভিযোগে এ বার নজরে স্তালিন-জামাতা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 02, 2021 | 11:58 AM

চেন্নাই: নির্বাচনের আগেই ডিএমকে(DMK) নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দিল আয়কর আধিকারিকেরা(Income Tax Officials)। সম্প্রতি ডিএমকে প্রার্থী ইভি ভেলু(EV Velu)-র বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। এ বার ডিএমকে প্রধান এমকে স্তালিন(MK Stalin)-র জামাইয়ের বাড়িতে হানা দিল আয়কর বিভাগ। শুক্রবার সকাল থেকেই স্তালিন জামাতা সবরীসান(Sabareesan)-র চারটি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা।

সূত্র অনুযায়ী, এ দিন সকালে মোট চারটি জায়গায় হানা দেয় আয়কর আধিকারিকেরা। এই চারটি জায়গাই ডিএমকে নেতার জামাই সবরীসানের নামে রয়েছে। নীলাগড়াই, যেখানে স্তালিনের মেয়ে সেন্থারামাই ও তাঁর স্বামী সবরীসানের সঙ্গে থাকেন, সেই বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা।

আয়কর বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে ভোট প্রভাবিত করতেই অর্থ বিলি করা হচ্ছিল। সূত্র মারফত এই খবর মিলতেই আজ তল্লাশি অভিযান শুরু করে আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা। এ দিকে, আয়কর হানার খবর পেতেই বাড়ি ঘিরে ফেলে ডিএমকে সমর্থকরা। তাঁরা ডিএমকে নেতাকে সমর্থন জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।

আরও পড়ুন: Corona Cases and Lockdown News: একুশের সর্বাধিক, এক দিনে নতুন আক্রান্ত ৮১,৪৬৬

তামিল রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে। দলনেতা এমকে স্তালিনের হয়েই কাজ করেন তাঁর জামাই সবরীসান। দলের তরফে অভিযোগ, সম্প্রতি স্তালিন পুত্র উদয়নিধি কোয়েম্বাটোরে একটি নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই স্তালিনের জামাইয়ের বাড়িতে আয়কর বিভাগ হানা দিল।

আগামী ৬ এপ্রিল তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। নির্বাচনের আগে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ডিএমকে নেতাদের বাড়িতে অর্থের খোঁজে হানা দিল আয়কর বিভাগ। এর আগে মার্চ মাসেই প্রবীণ নেতা ইভি ভেলুর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা। তাঁর বিরুদ্ধেও নির্বাচনে টাকা ব্যবহার করে ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল। এমকে স্তালিন যে দিন তাঁর হয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন, সেই সময়ই হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। সেই অভিযানে মোটা অঙ্কের টাকা উদ্ধারের দাবি করা হলেও দলের তরফে বলা হয়, সম্পূর্ণ দাবিই ভুয়ো।

বারংবার আয়কর হানার ঘটনার সমালোচনা করে ডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক দুরাইমুরুগান বলেন, “ডিএমকে প্রধান এমকে স্তালিন যে ঘরে থেকেছিলেন, সেখানেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, আধিকারিকদের আসল উদ্দেশ্য কী? এ ভাবে আমাদের জয় আটকানো যাবে না।”

আরও পড়ুন: ভোর থেকে চলছে এনকাউন্টার, সেনার গুলিতে খতম জঙ্গি