কানপুর : দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন আগামী মাসে। তালিকায় নাম রয়েছে দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশেরও। নির্বাচনের আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ব্যস্ত জনসংযোগে। ভোটবাক্সে জনগণের ভোট টানতে জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে প্রার্থীরা। এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকছে না কোনও দলই। কোনও কোনও প্রার্থী আবার প্রচার করতে বেরিয়ে বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছেন। একরমই এক প্রার্থী হলেন উত্তর প্রদেশের বিজেপি বিধায়ক মহেশ ত্রিবেদী। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই ভিডিয়ো ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কানপুরের কিদওয়াই নগর আসনের বিজেপি বিধায়ক মহেশ ত্রিবেদী একটি জনসভায় বক্তৃতা রাখছেন। সেই জনসভায় তাঁর সমর্থকদের তিনি অত্যাচারীদের লাঠি এবং জুতো দিয়ে মারার জন্য বলেন। তিনি বলেছেন, “আমি এইবার অনুরোধ করছি যারা অত্যাচারী, যারা একপেশে কথা বলে, যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাদের লাঠি এবং জুতো দিয়ে মারুন। তবে গুলি করবেন না। বাকি সবটা আমি দেখে নেব।”
"बस गोली ना मारना, बाकी मैं देख लूं…"
कानपुर की किदवई नगर विधानसभा क्षेत्र से विधायक और BJP प्रत्याशी के ये बिगड़े बोल भाजपाइयों के लिए है। जिनसे वो विपक्षियों के खिलाफ हिंसा करने के लिए कह रहे है।
ये है BJP का चाल, चरित्र और चेहरा।
संज्ञान ले कार्रवाई करे चुनाव आयोग। https://t.co/LXRXVM5KrF
— Samajwadi Party (@samajwadiparty) January 26, 2022
মনে করা হচ্ছে যে এই বিজেপি বিধায়ক তাঁর বিধানসভা আসনের বিরোধী প্রার্থীর উদ্দেশেই এই কথা বলেছেন। এবং সেই বিরোধী প্রার্থী কংগ্রেসের। এই জনসভায় উপস্থিত থাকা একজন সমর্থক এই ভিডিয়োটি ফেসবুকে লাইল স্ট্রিম করেছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি বিধায়কের এহেন মন্তব্য করা ভিডিয়ো দেখে হাত গুটিয়ে বসে নেই বিরোধী দলগুলিও। এইরকম একটা হাতিয়ের সৎ ব্যবহার বিরোধীরা করবে না তা হতে পারে না। তাই সমাজবাদী পার্টি ত্রিবেদীর এর মন্তব্যের সুযোগ নিয়ে টুইট করেছে। টুইটে লেখা হয়েছে, “এটাই বিজেপির আসল মুখ এবং চরিত্র। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এর আগেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের মিরানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পারশান্ত গুজ্জার ও তাঁর ৪০ জন সমর্থক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলাও। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ,কোনও অনুমতি ছাড়াই পারশান্ত ও তাঁর ৪০ জন সমর্থক রবিবার সভা করেছিলেন।উল্লেখ্য, দেশ জুড়ে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন সশরীরে নির্বাচনী জনসভা এবং শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এই সভার আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। গুজ্জারের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক ও হিংসা উদ্রেগকারী মন্তব্য় করারও অভিযোগ উঠেছে। একটি ভিডিয়ো ক্লিপে শোনা গিয়েছে, গুজ্জার চোরাওয়ালা গ্রামের বসিন্দাদের কাছে তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আবেদন করছেন। কারণ বিজেপি হল হিন্দুদের দল এবং বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি হল মুসলিমের দল। বর্তমানে তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন : PLA on Arunachal Missing Boy : শীঘ্রই ঘরের ছেলে ফিরবে ঘরে, অরুণাচলের নিখোঁজ কিশোর নিয়ে বার্তা চিনের