লখনউ : ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) উত্তর প্রদেশের কারহাল আসনের প্রার্থী এসপি সিং বাঘেলকে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স
(সিআইএসএফ) জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিল। বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। গতকাল গভীর সন্ধেয় উত্তর প্রদেশের মইনপুরী জেলার আত্তিকুল্লাপুর গ্রামের কাছে বিজেপির কনভয়ে হামলা হয়। তারপর আজই এসপি সিং বাঘেলকে এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,মঙ্গলবার সন্ধ্যার ঘটনার চার দিন আগে ১১ ফেব্রুয়ারি আইন ও বিচার মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে আগে বাঘেলকে সশস্ত্র কেন্দ্রীয় সুরক্ষা কভারের ‘Y+’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাঘেল উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের কারহাল আসন থেকে সপা সভাপতি অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মঙ্গলবারের ঘটনার সময়, মইনপুরীতে বাঘেলের গাড়িতে ঢিল এবং লাঠি ছোঁড়া হয়। তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। জানা গিয়েছে, মন্ত্রী কারহাল পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর দায়ের করেন।
श्री अखिलेश यादव जी चुनाव में हार के डर से आपने अपने पालतू गुंडों के द्वारा भाजपा प्रत्याशी केन्द्रीय मंत्री प्रोफ़ेसर SP सिंह बघेल और भाजपा नेताओं पर हमला करवाते हो,आपने हमला नहीं अपनी पराजय सुनिश्चित की है,क्या यही नई सपा है जो आपके ख़िलाफ़ चुनाव लड़े उस पर हमला कराओगे!
— Keshav Prasad Maurya (@kpmaurya1) February 15, 2022
মইনপুরীর পুলিশ সুপার (এসপি) মধুবন সিং জানিয়েছেন যে গতকাল নির্বাচনী প্রচার সেরে ফিরছিলেন বিজেপি প্রার্থী। সেই সময়ই তাঁর গাড়িতে হামলা হয়। হামলাকারীরা পাশের খামারের মাঠ থেকে এসে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিল। এসপি সিং জানিয়েছেন যে ঘটনার পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং বাঘেলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিল। বিজেপি প্রার্থী বাঘেলের কনভয়ের উপর হামলার নিন্দা করেছে। উত্তর প্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য মঙ্গলবার টুইট বার্তায় অভিযোগ করেছেন যে অখিলেশের পাঠানো গুন্ডারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
প্রসঙ্গত উত্তর প্রদেশে সাত দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। কারহাল আসনে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। বিজেপির লক্ষ্য হল ২০১৭ এর এই বছরের বিধানসভা নির্বাচনেও নিজেদের জয় নিশ্চিত করা। বিধানসভা নির্বাচনের গণনা হবে ১০ মার্চ। সেদিনই জানা যাবে মানুষের রায় কোন দলের দিকে যায়।
আরও পড়ুন : Mufti Slams BJP: বিজেপি আর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কি এক? মুফতির দাবি ঘিরে জল্পনা