Mufti Slams BJP: বিজেপি আর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কি এক? মুফতির দাবি ঘিরে জল্পনা
Mehbooba Mufti: মুফতির অভিযোগ, "হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। যেসব সাংবাদিকরা কাশ্মীরের আসল চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
শ্রীনগর: বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন কাশ্মীরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti)। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে বেশ কিছুদিন কাশ্মীরে সরকারও চালিয়েছিন মেহবুবা। তবে জোট ভেঙে যাওয়ার পর সম্পর্কে চরম অবনতি হয়েছিল। দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে দলের এক অনুষ্ঠানে মেহবুবা জানিয়েছেন, একদিন বিজেপিও দেশে ছেড়ে চলে যাবে। মুফতির দাবি, বিজেপি পিএডিপিকে (People’s Alliance for Gupkar Declaration) ভয় পায় কারণ এরা কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, “পিএজিডি একসঙ্গে কাশ্মীরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কাশ্মীর সম্মান ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। সেটা ৩৭০ ধারা বা ৩৫ এ ধারা ফিরিয়ে আনা হোক না কেন। আমরা আমাদের রাজ্যবাসীকে এই সমস্যার থেকে বের করে আনতে চাই।”
মুফতির অভিযোগ, “হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। যেসব সাংবাদিকরা কাশ্মীরের আসল চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলেছে পিএজিডি, সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্র চায়না কাশ্মীরের আসল চিত্রটা কেউ তুলে ধরুক। তাদের একটা উদ্দেশ্য, সকলের সামনে এটা তুলে ধরা যে কাশ্মীরে সব ভাল আছে। বিজেপি দাবি করে যে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর কাশ্মীরে পরিস্থিতি ভাল হয়ে গিয়েছে, কিন্তু আসলে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার ফলে কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।” বেশ কয়েকদিন ধরে হিজাব বিতর্ক নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। সেই প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মেহবুবা মুফতি। তাঁর দাবি, দেশের বিভিন্ন ধরনের মানুষ থাকেন তাই পোশাক, খাদ্যাভাস আলাদা হতেই পারে, কিন্তু বিজেপি দেশকে ‘গডসের ভারতে’ পরিণত করতে চান।
দীর্ঘ ২০০ বছরের ব্রিটিশ রাজের পর স্বাধীনতা পেয়েছিল দেশ। ব্রিটিশ রাজের স্বৈরাচার এবং অত্যাচারের অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে। এদিন বিজেপির সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিজেপি রাজ দীর্ঘমেয়াদি হবে না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো বিজেপিও একদিন দেশ থেকে চলে যাবে। সেই সময়ে সব সমস্যা থেকে জম্মু কাশ্মীরের মানুষ মুক্তি পাবে এবং তাঁর আত্মসম্মান ফিরে পাবে। বিজেপি চলে যাওয়ার পরই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে।”