Amit Shan on Yogi: ‘ভয়ে অপরাধীরা এখন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করে’ কেন এমন বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
Amit Shah: বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের হাত ধরে উত্তর প্রদেশে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। ২০১৪, ২০১৭, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে হওয়া উন্নয়নের ওপর আস্থা রেখেছিল রাজ্যের মানুষ।
গোরক্ষপুর: সামনেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। উত্তর প্রদেশ দখলে মরিয়া বিজেপি। যাঁর হাত ধরে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি সেই অমিত শাহ এখন উত্তর প্রদেশে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। অমিত শাহের উপস্থিতিতেই আজ গোরক্ষপুর থেকে মনোনয়ন পেশ করেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যোগী আদিত্যনাথের মনোনয়ন পেশের সময় তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন অমিত শাহ। যোগীর মনোনয়ন পেশের পর তার প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি, যোগী আদিত্যনাথের হাত ধরেই রাজ্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যোগীর হাত ধরেই অপরাধী মুক্ত হয়েছে উত্তর প্রদেশ। কয়েকদিন আগে অমিত শাহের দাবি ছিল উত্তর প্রদেশ এখন দু’জায়গাতে অপরাধীদের দেখা মেলে, হয় জেলে না হয় সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী তালিকায়।
আরও পড়ুন: UP Assembly election: যোগীর নেতৃত্বে আস্থা, কতগুলি আসন পাবে বিজেপি, জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ
যোগীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর এদিন অমিত শাহ বলেন, “আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যোগীজির নেতৃত্বে উত্তর প্রদেশে মাফিয়া রাজ শেষ হয়েছে। ২৫ বছর পর রাজ্যেই আইনের শাসন ফিরে এসেছে” অমিত শাহরে দাবি যোগী আদিত্যনাথের সরকারের আমলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই উন্নত হয়েছে যে এখন আর অপরাধীদের ধরতে লাগে না, ভয়ে তারা নিজেরাই গিয়ে আত্মসমর্পন করে। উত্তর প্রদেশে অপরাধীদের দিন শেষ।
বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের হাত ধরে উত্তর প্রদেশে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। ২০১৪, ২০১৭, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে হওয়া উন্নয়নের ওপর আস্থা রেখেছিল রাজ্যের মানুষ। তাই তারা আমাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। আজ যোগী আদিত্যনাথের মনোনয়ন জমা দেওয়ার মাধ্যমে ৩০০- র বেশি আসনে জয় সুনিশ্চিত।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর গলায় প্রথম থেকেই ছিল আত্মবিশ্বাসের সুর। “২০১৩ সালে যখন দলের তরফে আমাকে উত্তর প্রদেশ বিজেপির ইনচার্জ হিসেবে পাঠানো হয়েছিল তখন সাংবাদিক বন্ধুদের অনেকে বলেছিলেন, আমাকে এমন এক জায়গায় পাঠানো হয়েছে যেখানে বিজেপির আসন সংখ্যা দুই অঙ্কে পৌছবে না। কিন্তু ফল বেরোনোর পর দেখা গিয়েছিল বিরোধীরাই দুই অংকে পৌঁছতে পারেনি।”