লখনউ: শেষমেশ যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) নেতৃত্বের ওপরই আস্থা রাখল উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh Assembly Election)। জনতার রায়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য সরকার গঠনের পথে ‘হিন্দুত্বের পোস্টার বয়’। ভোটের আগে অনেকেই যোগী আদিত্যনাথ সরকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকী হাথরাস ও লখিমপুর খেরির মত ঘটনাতে সারা দেশ জুড়ে যোগী নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের নিন্দায় সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও যোগীর ওপর আস্থা অটুট ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সরকারি প্রকল্পই হোক বা নির্বাচনী জনসভা উত্তর প্রদেশে গিয়ে বারবারই যোগী নেতৃত্বধীন উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শেষমেশ যে ‘কালো ঘোড়ার’ ওপর খোদ প্রধানমন্ত্রী বাজি ধরেছিলেন, সেই ঘোড়াই জিতে নির্বাচনী রেসের মাঠ ছাড়ল।
২০১৭ সালে বিজেপি যখন উত্তর প্রদেশে বিপুল ব্যবধানে জিতেছিল, তখন যোগী আদিত্যনাথ গোরক্ষপুরের সাংসদ ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখের ওপর ভর করে নির্বাচনে লড়াই করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবারের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতটা গত নির্বাচনের তুলনায় খানিকটা আলাদা ছিল, কারণ এবারে ভোটে যাওয়া বিজেপি ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৫ বছর রাজত্ব করে ফেলেছে, এবং সেই সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একাধিক গুরুতর অভিযোগ ছিল। ভোটচ ঘোষণা আগে থেকেই যোগীর নির্বাচনী কেন্দ্র নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। কেউ কেউ বলছিলেন যোগী মথুরা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, কেউ আবার বলেছিলেন যোগী অযোধ্যা থেকে ভোট লড়তে পারেন। তবে সকলের জল্পনা মিথ্যে বলে প্রমাণ করে নিজের গড় গোরক্ষপুর থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর সিদ্ধান্ত যে খুব একটা ভুল ছিল ভোটের ফলেই সেটা প্রমাণিত হয়েছে। নিজের নির্বাচনী গড় থেকে ১ লক্ষ ২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
উত্তর প্রদেশের মানুষ যোগীর ওপরই যে আস্থা রেখেছে তা ফল সার্বিক ফল থেকেই প্রমাণিত, বিজেপি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি সমাজবাদী পার্টির থেকে দ্বিগুণেরও বেশি আসন পেয়েছে। দেশের সব থেকে বড় রাজ্যের নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উত্তর প্রদেশে বিজেরি হারলে তার প্রভাব সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুর্সির ওপর পড়ত। রাজনীতির কারবারীরা জানেন জাতীয় রাজনীতিতে উত্তর প্রদেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বিপুল জয়ের পর যোগী এখনও প্রকাশ্য আসেননি বা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এখন কী বলেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন UP Assembly Elections Results: ‘আমারই জিতব’, ফল প্রকাশের দিন সপা কর্মীদের টিভি দেখতে নিষেধ অখিলেশের!