লখনউ: চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বহু প্রতীক্ষিত উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election 2022)। ইতিমধ্যে দেশের সবথেকে বড় রাজ্য নির্বাচনের দু’দফা সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে বরাবরই বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে এসেছে উত্তর প্রদেশ। এবারও তার অন্যথা হয়নি বরং আরও গুরুত্ব বেড়েছে। এবারই প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব (Akhilesh yadav)। প্রথম দু’দফা নির্বাচনের পর সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের গলায় শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর। তাঁর দাবি এবারের নির্বাচনে ‘ঐতিহাসিক জয়’ পাবে সমাজবাদী পার্টি।
সোমবার অখিলেশ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দাবি করতেন যে নির্বাচনের পরে সমাজবাদী পার্টি ও আরএলডির ‘গরম রক্ত’ দমন করা হবে। প্রথম দু’দফার ভোটের পরই যোগী আদিত্যনাথের যে ‘গরম’ ছিল তা ‘ঠান্ডা’ হয়ে গিয়েছে। বুন্দেলখন্ডের জনসভা থেকে এইভাবেই যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করেন অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, “বুন্দেলখন্ডের তৃতীয় দফার নির্বাচনের পর মানুষ যোগীকে আরও ‘ঠান্ডা’ করে দেবে।” সোমবার ঝাঁসি, হামিরপুর এবং মাহোবাতেও জনসভা করেছেন অখিলেশ যাদব। সেখানে তিনি বলেন, “প্রথম দফার নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি ও আরএলডি জোট প্রার্থীদের পক্ষে ঐতিহাসিক ভোট পড়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোটেও একই ভাবে ভোট পড়েছে। বিজেপি বুন্দেলখন্ডের মানুষ ঠকিয়েছে কিন্তু সমাজবাদী পার্টি সবসময়ই তাদের পাশে রয়েছে।”
এবার নির্বাচনে বিজেপি ব্যাপকভাবে পরাজিত হবে এই দাবিই বারবার সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করে আসা হয়েছিল। সোমবার অখিলেশের মুখেই একই দাবি শোনা গিয়েছে। অখিলেশ বলেন, “যোগী আদিত্যনাথের কথা থেকেই স্পষ্ট ভোটে পরাজয়ের আশঙ্কায় তিনি রাতে ঘুমাতে পারছেন না।” মুলায়ম পুত্রের অভিযোগ, বিজেপি মানুষকে মিথ্যে কথা বলে, তাই কোনও ধর্ম, জাতপাত দূরে সরিয়ে রেখে ভোটাররা যেন সমাজবাদী পার্টি ও আরএলডির জোটকে ভোট দেয়। এবারের উত্তর প্রদেশ নির্বাচন বিজেপির কাছে ‘প্রেস্টিজ ফাইট’। যে কোনও ভাবেই রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে বারবার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনে উত্তর প্রদেশ গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । সেখানে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে এবারে বিধানসভা নির্বাচন অখিলেশের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই, কারণ এবার ভোটে পরাস্ত হলে সপার দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শেষ হাসি কে হাসবেন তার উত্তর মিলবে ১০ মার্চ।
আরও পড়ুন : ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাধা দিচ্ছে প্রশাসন! আমি বিব্রত’, পুরভোটের মনোনয়ন মামলায় মন্তব্য বিচারপতির