Municipal Elections: ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাধা দিচ্ছে প্রশাসন! আমি বিব্রত’, পুরভোটের মনোনয়ন মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

Jalpaiguri Municipality: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর এই মামলার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেন, "গণতান্ত্রিক দেশে একজন মানুষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। কিন্তু প্রশাসন তাঁকে বাধা দিচ্ছে। এটি আমাকে বিব্রত করছে।"

Municipal Elections: 'নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাধা দিচ্ছে প্রশাসন! আমি বিব্রত', পুরভোটের মনোনয়ন মামলায় মন্তব্য বিচারপতির
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2022 | 11:33 PM

কলকাতা : জলপাইগুড়ি পুরসভার (Jalpaiguri Municipality) ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন মলয় চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন পেশ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছিল শাসক দলের একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নির্দল প্রার্থী। সেই মতো গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর মনোনয়ন নেওয়ার জন্য মহকুমাশাসককে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তারপরও মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়নি। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের পেরিয়ে যাওয়ার পর মলয় বাবু মনোনয়ন পেশ করতে গিয়েছিলেন। সেই কারণেই তাঁর মনোননয়ন গৃহীত হয়নি। সেই নিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মলয় চট্টোপাধ্যায়। তবে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ইতিমধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাই আদালত আর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে না।

অর্থাৎ, হাইকোর্ট বিষয়টিতে আর হস্তক্ষেপ না করার ফলে আসন্ন পুরভোটে (প্রার্থী হিসেবে) আর অংশগ্রহণ করতে পারবেন না জলপাইগুড়ির মলয় চট্টোপাধ্যায়। তবে একইসঙ্গে মলয় চট্টোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দিতে না পারায়, বিষয়টি নিয়ে যে বেশ বিব্রত হাইকোর্ট, তাও সোমবার স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর এই মামলার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেন, “গণতান্ত্রিক দেশে একজন মানুষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। কিন্তু প্রশাসন তাঁকে বাধা দিচ্ছে। এটি আমাকে বিব্রত করছে।”

উল্লেখ্য, এলাকায় মলয় চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত। তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সৈনিক। রাজনৈতিক মহলে আদি তৃণমূল নেতা হিসেবে জলপাইগুড়ির যাঁদের পরিচিতি রয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন মলয় বাবু। এবারের পুরভোটে দলের প্রথম প্রার্থী তালিকায় জলপাইগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডে নাম ছিল তাঁর। কিন্তু এরপর দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই, শুরু হয় সমস্যা। সেখানে মলয় চট্টোপাধ্যায়ের বদলে উঠে আসে নীলম শর্মার নাম। আর এই ঘিরেই বেজায় অসন্তুষ্ট হন মলয় বাবু। সিদ্ধান্ত নেন নির্দল প্রার্থী হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

কিন্তু যখন তিনি মনোননয়ন জমা দিতে যান, সেই সময় বার বার পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। ফলে সেই দিন আর মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মলয় বাবু। যেহেতু পরের দিনই মনোনয়ন জমার শেষ দিন ছিল, তাই জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয় হাইকোর্টে। সেখানে বিচারপতি রবিকিষাণ কপূরের একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, জলপাইগুড়ির নির্দল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং কোতয়ালি থানার আইসিকে।

কিন্তু তারপরও শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। মেডিক্যাল টেস্ট করানোর নাম করে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। শেষে বিকেল তিনটের পর তাঁকে ছাড়া হয়। এদিকে গোটা ঘটনায় মনোনয়ন জমা দিতে যেতে দেরি হয়ে যায় মলয় বাবুর, ফলে তা গৃহীত হয় না। এই নিয়ে ফের হাইকোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। তাতে হাইকোর্ট বিষয়টিতে আর হস্তক্ষেপ না করার কথা বললেও, প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে জানায়,  “গণতান্ত্রিক দেশে একজন মানুষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। কিন্তু প্রশাসন তাঁকে বাধা দিচ্ছে। এটি আমাকে বিব্রত করছে।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা