Municipal Elections: হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও জমা দিতে পারলেন না মনোনয়ন! ফের আদালতের যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিক্ষুব্ধ নেতার
Jalpaiguri Independent Candidate: বুধবার বিচারপতি রবিকিষাণ কপূরের একক বেঞ্চের নির্দেশ, জলপাইগুড়ির নির্দল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং কোতয়ালি থানার আইসিকে।
কলকাতা : পুরভোটের (Municipal Election 2022) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে কার্যত আরও বেআব্রু হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী বিক্ষোভ। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। পুলিশের বিরুদ্ধে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন জলপাইগুড়ির নির্দল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই প্রার্থী যাতে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করার ভার এবার পুলিশের উপরেই দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি রবিকিষাণ কপূরের একক বেঞ্চের নির্দেশ, জলপাইগুড়ির নির্দল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং কোতয়ালি থানার আইসিকে।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসাবে মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ তাঁকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই বুধবার আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। যেহেতু বুধবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন, তাই মলয় জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি করেছিলেন। ওই মামলার শুনানিতেই আদালত জানায়, মনোনয়নে বাধা দেওয়া যাবে না ওই প্রার্থীকে। এখনই তাঁর মনোনয়নের ব্যবস্থা করতে হবে জেলাশাসককে। এমনকী ওয়েবসাইট থেকে রায়ের কপির জন্য অপেক্ষা না করে, এই নির্দেশ যাতে তড়িঘড়ি কার্যকর করা হয় রাজ্যের কৌঁসুলিকে সেই নির্দেশও দেন বিচারপতি।
মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন মলয়। তাঁর দাবি, তিনি ওই জেলায় তৃণমূলের যুব সভাপতি ছিলেন। তৃণমূলের প্রথম প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়ে। তারপর দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল হিসাবে ওই ওয়ার্ড থেকেই দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মলয় বাবু। কিন্তু শাসক দলেরই একাংশের কথায় পুলিশ তাঁকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল পুলিশ। সেই মতো বুধবার সকালে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। মেডিক্যাল টেস্ট করানোর নাম করে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ ওই নির্দল প্রার্থী। প্রার্থীর আইনজীবী বুধবার বিকেলে জানিয়েছেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বুধবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত নির্দল প্রার্থী এবং তাঁর আইনজীবীদের আটকে রেখেছে। ঢুকতে দেয়নি। ঘড়ির কাঁটা তিনটে পার হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা গেট খুলে দেন। আমরা এখানে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করব, ওনারা আসছেন না। হাইকোর্টের আদেশ সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল। আমরা বিষয়টি নিয়ে আবার হাইকোর্টে যাব।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা