Lagnajita Chakraborty: লগ্নজিতাকে ‘অন-স্টেজ’ হেনস্থা, বিজেপিকে দুষে হাত তুলে নিল তৃণমূল
Singer Lagnajita Chakraborty Harrasment: লগ্নজিতার অভিযোগ, 'উনি হঠাৎ দৌড়ে মঞ্চে আসেন এবং প্রায় আমার ঠোঁটের কাছে অবধি যখন চলে আসেন। তখন জনা তিনেক ব্যক্তি ওনাকে সামাল দেন। উনি আমাকে মারতে উঠেছিলেন। বাধা দেওয়ার কারণে সেটা পারেননি। তখন উনি চিৎকার করে বলেন, অনেক জাগো মা হয়েছে, এবার সেকুলার গা!'

পূর্ব মেদিনীপুর: মঞ্চে গান গাইতে উঠে হেনস্থার শিকার গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। শিল্পীর অভিযোগ, মারমুখী হয়ে তাঁর একেবারে কাছ পর্যন্ত চলে এসেছিল এক ব্য়ক্তি। মূলত ধর্মীয় গান নিয়ে আপত্তি তোলে সেই অভিযুক্ত। যা ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক। শিল্পের সঙ্গে কেন জুড়ে যাচ্ছে ধর্ম, গায়িকার হয়ে সওয়াল করে প্রশ্ন তুললেন একাংশ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
টিভি৯ বাংলাকে লগ্নজিতা জানিয়েছেন, ‘৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আমার গানের লিস্টের সপ্তম গান গাওয়া শেষ হয় এবং অষ্টম গানে যাওয়ার আগে যে রকম পরবর্তী গানে যাওয়ার আগে যে কোনও শিল্পী যেমন কথা বলেন, সে রকম আমিও কথা বলছিলাম।’ গায়িকার সপ্তম গানটি ছিল দুর্গাপুজোয় মুক্তি পাওয়া ছবি ‘দেবী চৌধুরাণী’র ‘জাগো মা’ গান। তাতেই আপত্তি তোলেন অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিক।
লগ্নজিতার অভিযোগ, ‘উনি হঠাৎ দৌড়ে মঞ্চে আসেন এবং প্রায় আমার ঠোঁটের কাছে অবধি যখন চলে আসেন। তখন জনা তিনেক ব্যক্তি ওনাকে সামাল দেন। উনি আমাকে মারতে উঠেছিলেন। বাধা দেওয়ার কারণে সেটা পারেননি। তখন উনি চিৎকার করে বলেন, অনেক জাগো মা হয়েছে, এবার সেকুলার গা!’
এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ভগবানপুর থানার ওসি শাহেনশাহ হকও। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুনকুমার দে। ইতিমধ্যেই একমাত্র অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু হেনস্থার ঘটনায় অভিযোগ নিতে টালবাহানা ও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে স্ক্যানারে পড়ে গিয়েছে খোদ পুলিশকর্তাও।
মুখ খুলল তৃণমূল
এই ঘটনায় মুখ খুলেছে তৃণমূল শিবিরও। এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে বিজেপির দিকেও দায় ঠেলে দিচ্ছে তৃণমূল শিবির। ভগবানপুর ১নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি রবিন মণ্ডলের অভিযোগ, ‘বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি বেসরকারি স্কুলের মালিক, ব্যবসায়ী। ওনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই।’
