লখনউ: আগামী বছরেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election 2022)। তার আগেই প্রচারে ব্যস্ত শাসক ও বিরোধী দল। কংগ্রেস (Congress), সমাজবাদী পার্টি(Samajwadi Party)-র মতো বিরোধী দলগুলি যেখানে সরকারের সমালোচনাতেই ব্য়স্ত, সেখানে যোগী সরকার প্রতিটি প্রচারে গিয়ে রাজ্য়ের উন্নয়নের খতিয়ানই তুলে ধরছেন। এবার “জনসেবা ও প্রতিশ্রুতি পূরণই আসল রামরাজ্য”, এমনটাই দাবি করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। রবিবারই একটি নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি যা কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার সবকটিই পূরণ করা হয়েছে।”
জন বিশ্বাস যাত্রার সূচনার অনুষ্ঠানে মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “বিজেপি তোষণনীতি অনুসরণ করে না বলেই বিগত সাড়ে চার বছর ধরে উত্তর প্রদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। বিনামূল্যে বাড়ি ও শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া, গরিবদের পাঁচ লক্ষ টাকা অবধি বীমাই আসল রাম রাজ্যের প্রমাণ।”
সম্প্রতিই উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথাকথিত নিম্নবর্গের মানুষ, যারা বরাবর বঞ্চনার শিকার হয়েছেন, তাদের সম্মান জানিয়েছেন। প্রয়াগরাজে সাফাইকর্মীর পা ধুয়ে দেওয়া থেকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে নির্মাণকর্মীদের উপর পুস্পবর্ষণের মতো কাজগুলিকে এদিন “ঐতিহাসিক” বলে আখ্য়া দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ
উপস্থিত জনতার কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, যদি সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি বা কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকত, তবে তারা কি মথুরা, বৃন্দাবন, গোবর্ধন, নন্দগাঁও, গোকুল ও বালদেওকে তীর্থস্থানের আখ্যা দিত? অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণ বা কাশী বিশিবনাথ করিডর তৈরি থেকে শুরু করে করোনাকালে গরিবদের বিনামূল্যে রেশন সহ একাধিক সুবিধা বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও দল দিত কিনা, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। সকলে “না” উত্তর দেওয়ায়, তিনি বলেন এই ধরনের দলকে ভোট কেন দেবেন তবে?
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ডঃ শ্যমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এক পতাকা, এক সংবিধান ও অখণ্ড ভারতের স্বপ্নকে পূরণ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে। বিগত পাঁচ বছরে এক নতুন উত্তরাখণ্ড তৈরি হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। আগামিদিনে ক্ষমতায় এলে রাজ্যে একদিকে যেমন ধর্মীয় স্থানগুলির সংস্কার ও উন্নয়ন হবে, তেমনই রাজ্য থেকে মাফিয়ারাজও শেষ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী বছরই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মতন করে রণকৌশল ঠিক করছে রাজনৈতিক দলগুলি। দিন যত এগোচ্ছে, দেশের সব থেকে বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পারদ তত চড়ছে।