অমেঠী: খুব সম্ভবত আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তরাখণ্ড, মনিপুর, পঞ্জাব, গোয়ার সঙ্গেই হবে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। দেশের সবথেকে বড় রাজ্যকে নিয়ে, রাজনৈতিক পারদ ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যবাসীর মন পেতে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি রাজনৈতিক আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ লেগেই রয়েছে। সম্প্রতি রাজস্থান থেকে ‘হিন্দুধর্ম’ ও ‘হিন্দুত্ব’-র ফারাক বুঝিয়ে ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সোমবার সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই রাহুলকে আক্রমণ করলেন উত্তর প্রদেশের মুখমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
রাহুলকে নিশানা করে যোগী বলেন, মন্দিরে কীভাবে বসতে হয়, রাহুল গান্ধী সেটাই জানেন না। তিনি ‘হিন্দুধর্ম’ ও ‘হিন্দুত্ব’ ধর্ম সম্পর্কে কিছুই বোঝেন না। সোমবার রাহুল গান্ধীর আগের লোকসভা কেন্দ্র অমেঠীতে একটি রাজনৈতিক সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “এখানকার প্রাক্তন সাংসদ এটাও জানেন না কীভাবে মন্দিরে বসতে হয়। যে যে মন্দিরে তিনি পুজো দিতে যায় সেখানকার পুরোহিতরা বসার কায়দা তাকে শিখিয়ে দেন। হিন্দুধর্ম ও হিন্দুত্ব সম্পর্কে ও তার কোনও ধারণা নেই। কোন ধারণা ছাড়াই টিভি অপপ্রচার করছেন।”
এদিনের সভায় থেকে বিরোধীদের নিশানা করেন যোগী। তিনি বলেন, “করোনার সময় কংগ্রেস হোক বা সমাজবাদী পাটির্র বহুজন সমাজবাদী পার্টির কোনও নেতাই সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে আসেননি। এমনকি সেই দলের কর্মীরাও মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। যেই ভোট এগিয়ে আসে তখনই এরা এখানে ঘোরাফেরা শুরু করে। নির্বাচনের পর এরা আবার পরবর্তী সাড়ে চার বছরের জন্য গায়েব হয়ে যাবে।”
উল্লেখ্য, ২০০৪, ২০০৯ ও ২০১৯ সালে পর পর অমেঠীথেকে জয়ী হয়ে লোকসভায় গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালে প্রেস্টিজ ফাইটে বিজেপির তারকা প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান রাহুল। নির্বাচনে পরাজিত হলেও রাহুলের সঙ্গে অমেঠীর যোগাযোগ রয়েছ। তাই এখানে প্রচারে এসে রাহুলকে আক্রমণের আক্রমণের নিশানা করলেন যোগী আদিত্যনাথ। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা বলেছেন, ” যোগী আদিত্যনাথ উদ্দেশ্য নিয়ে এই সমস্ত কথা উল্টাপাল্টা কথা বলছে। এই কথাবার্তা থেকেই স্পষ্ট আগামী নির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হতে চলেছে।”
আরও পড়ুন: ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ১৫ দিন হাসপাতালে ছিলাম’! এরকম হওয়ার সম্ভাবনা কতটা, কী বলছেন চিকিৎসকরা