শীতলকুচির সেই বিতকির্ত বুথে পুনর্নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে সারাদিন প্রচারঝড় তুললেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিক রোড-শো থেকে বলেন, “মোদীজি গরিবের কথা ভাবেন। আর দিদি ভাবেন ভাইপোর। তাই এই ভিড় প্রমাণ করছে যে আগামী ২ মে দিদির বিদায় নিশ্চিত।” সোমবার হেমতাবাদ বিধানসভার রায়গঞ্জের মহারাজাহাট হাইস্কুলের মাঠ থেকে ঘোষণা অমিত শাহের। বললেন, “দিদি বড় নেত্রী, পুরো দেশ ওনাকে চেনে। তাই বিদায় হতে হবে ধুমধামের সঙ্গে।” “তৃণমূলের গুন্ডারা কান খুলে শুনুন ২ তারিখে দিদি চলে যাবে, তার পর পাতালে ঢুকলেও খুঁজে জেলে ঢোকাব।
পঞ্চম দফা ভোটের আর মাত্র এক দিন বাকি। প্রচার শেষ হয়েছে আগেই। এবার ষষ্ঠ দফাকে সামনে রেখে একইসঙ্গে রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। উত্তরবঙ্গে পরপর সভা অমিত শাহের, করলেন রোড শো-ও। বর্ধমানের, পর বারাসত ও কল্যাণীতে সভায় নরেন্দ্র মোদী।
চতুর্থ দফার ভোটে একই দিনে দুই ঘটনার জেরে শিরোনামে উঠে এসেছিল শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথ। প্রথমে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় এক তরুণ ভোটারের। এরপর আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনী, যার জেরে চারজন ভোটারের মৃত্যু হয়। এরপর সেই বুথে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এ দিনই নতুন করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হল, ওই বুথে পুনর্নির্বাচন করা হবে।
‘ওঁরাও মানুষ, আমরাও মানুষ।’ শীতলকুচির ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তিনি বলেন, “ওঁরাও মানুষ, আমরাও মানুষ। হাজার লক্ষ সিআরপিএফ-কেও ভয় পাবেন না আপনারা। আপনারা আপনাদের কাজ করবেন৷” ভোট আবহে (West Bengal Assembly Election 2021) শীতলকুচির (Sitalkuchi) বিতর্কের মাঝেই বললেন অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal)।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘ওঁরাও মানুষ, আমরাও মানুষ, আপনারা আপনাদের কাজ করে যান’, শীতলকুচির ঘটনার পর কর্মীদের পাঠ অনুব্রতর
মাঝে মাঝে ভাবি কোথায় বাস করছি! এই দেশে মহাত্মা গান্ধী জন্মেছিলেন! এই দেশে নেতাজি নেতৃত্ব দিয়েছেন! বাবা সাহেব আম্বেদকর, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ… আর এখন… আজ পৌষমেলা উঠিয়ে দিচ্ছে। বলছে রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয়েছিল শান্তিনিকেতনে! বিরসা মুণ্ডা বলে আর একজনের গলায় মালা দিয়ে চলে যাচ্ছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার আসবে কেমন করে। রাফাল ধরা পড়বে। কতদিন চেপে রাখবেন। ধরা তো পড়বেই।
গুলি করে মেরে দিয়ে যে পার্টির প্রেসিডেন্ট থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে ঠিক হয়েছে, চারটার জায়গায় আটটা মেরে দেওা উচিত সে পার্টি করা উচিত! দেশের জঘন্য পার্টি, নগন্য পার্টি। রাজনীতিতে বিষের আমদানি করছে। রাজনীতিকে বিষদানি করেছে, ফুলদানি নয়। এদের বিষ দাঁত মানুষ ভাঙবে। আগে বাংলার মানুষ করবে। বাংলাকে গুজরাট হতে দেবেন না। বাংলার পর সারা ভারতবর্ষ থেকে দূর হঠাব। চ্যালেঞ্জ করে গেলাম, মোদীবাবু হাজার মিটিং করে গেলেও বাংলা পাবেন না। বাংলা আপনার সঙ্গে যাবে না।
ছবি তোলার জন্য মাঝেমাঝে নিজের বুড়ো মাকে দেখতে যান কখনও কাছে এনে রেখেছেন? আমার মাতো যতদিন বেঁচে ছিল আমার কাছে ছিল। আমার এখনও দুঃখ যায়নি, আমার মা কেন চলে গেল তাড়াতাড়ি। গর্ভমেন্টের মানে এনজয় করে বেড়াব নয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমি। আজ পর্যন্ত কোথাও বেড়াতে যাইনি। লোকের এক পয়সা নিইনি। পার্লামেন্টের পয়সা নিই না। এত বড় সাহস কিনা আমাকে বলে তোলাবাজ! আমি দুর্নীতিবাজ! জিভে পোকা পড়বে।
একটা মানুষ কীভাবে কথা বলে এটা তার পরিচয়। মোদী বাবু আপনার পরিচয়টা কী? সব মিটিংয়ে গিয়ে দিদি ও বলে বাংলা, ইংরেজি মিশিয়ে কীসব বলছে। বুঝতে পারছি না কোন ভাষা আমদানি করছেন আপনি? আপনার মতো ভাষা যেন কারও মুখে না আসে তাহলে তারা খারাপ হয়ে যাবে। একটা ঘরের মহিলাকে তো মিনিমাম সম্মান দিন। অবশ্য আপবনি দেবেন কী করে, আপনার স্ত্রীকেই তো সারাজীবন দেখেন না।… বলতেে বাধ্য হলাম।
আমি বলি মোদী বাবুজি যখন কোভিড হয় কোথায় থাকেন? আজকে আমি বাধ্য হয়েছি আগে আসার জন্য কারণ, ওনার হেলিকপ্টার যখন আসবে, ওনার ফ্লাইট যখন চলবে তখন আর কাউকে পারমিশন দেওয়া হবে না। ওনার জন্য আজকে বারাসতের মিটিং ক্যানসেল করতে বাধ্য হলাম। আগে পারমিশন নেওয়া ছিল। উনি যখন তখন যেখানে সেখানে ঢুকে পড়ছেন। সব ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আমাকে বলছে ১০ মিনিট আগে পৌঁছতে হবে। তা নাহলে আমরা পারমিশন দেব না। হোয়াট ইজ দিস? টোটাল ননসেন্স ইজ গোয়িং অন। মনে হচ্ছে , সবাই অমানুষ উনি একা মানুষ। গুন্ডাবাজি করে ক্ষমতায় এসেছে আর ভ্যাঙচাচ্ছে! দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মানায় এটা?
উত্তর ২৪ পরগনায় দমদমের সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করার পাশাপাশি, তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
“চন্দ্রিমাকে (ভট্টাচার্য) জেতাতেই হবে। দমদমের প্রার্থী চন্দ্রিমাকে কিন্তু জেতাতেই হবে। ওকে না জেতালে আমার সঙ্গে কাজ করবে কে? ওকে দিয়ে আমি স্বাস্থ্য দফতরের কাজ করাই। ল্যান্ড ডিপার্টমেন্টে কাজ করাই হাউসিংয়ে কাজ করাই। সুতরাং দমদম উত্তরের মা-াই-বোনদের বলি চন্দ্রিমাকে জেতাবেন। ওকে কাজে রাখতেই হবে।
খড়দাতে কাজল সিংহ ভালভাবে জিতুক, কামারহাটিতে মদন মিত্র জিতুক। মদন আর যাই করুক না কেন ওর নামের সঙ্গে একটা মিল হচ্ছে ও লোকের জন্য কাজটা করে। বরানগরের তাপস রায় ভালো কর্মী। তাপস জিতুক আমি চাই। অদিতি মুন্সি জিতুক। আমাদের ছোট্ট মেয়ে , মিষ্টি মেয়ে, সোনা মেয়ে ভালো মেয়ে মানে সুইট অ্যান্ড কিউট প্রার্থী।”
চতুর্থ দফা ভোটের দিন চারজনের মৃত্যু হওয়ার পর থেকেই উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। এবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলা দায়ের হয়েছে। কেন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালাতে হলো তা জানতে চেয়ে এই মামলা।
ভাটপাড়ায় (Bhatpara) অস্ত্র কারখানার (Arms) হদিশ। তাও আবার পুরসভার কলাবাগানের পাশেই। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, গুলির খোল, অস্ত্র বানানোর সরঞ্জাম। পুলিশের জালে এক জন ধরা পড়লেও, বাকি দুই পলাতক।আগামী ২২ এপ্রিল ভাটপাড়া বিধানভার নির্বাচন। রবিবার রাতেই ভাটপাড়া এলাকায় থেকে উদ্ধার হয় বোমা, গুলি। ভাটপাড়ার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ক্লাব থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা, গুলি। উদ্ধার হয় ১৮টি বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৭ রাউন্ড কার্তুজ। রাতভর এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সকালে পুরসভার পাশেই অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে।
মালদায় (Maldah) কংগ্রেস প্রার্থী ও সাংসদের ওপর হামলার ঘটনায় তিন তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ভোট আবহে (West Bengal Assembly Election 2021) রবিবার হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল মালদার নতুন ন’ঘরিয়া এলাকায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত তিন জনের নাম আসেম আলি, গাফ্ফর শেখ, কালিম খান। এখানে উল্লেখ্য, গাফ্ফর শেখ নামে ওই ব্যক্তির বয়স ৬৭ বছর।
কমিশনের কাছে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তুলল তৃণমূল। শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে রবিবার দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই দাবি শাসকদলের। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে নালিশ জানিয়েছে তারা। পাঠানো হয়েছে দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের সিডিও।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘দিলীপ ঘোষের প্রচার নিষিদ্ধ করা উচিৎ’, শীতলকুচি নিয়ে বক্তব্যের পর কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের
‘বাড়িতে ঢুকে রেপ করে দেব, বাচ্চাকে আছাড় মারব’। ভোট মিটলেও এখনও এলাকায় জারি দুষ্কৃতীদের চোখ রাঙানি। আর তাতেই কোলে কোলের সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়লেন গৃহবধূ। ভোট আবহে (West Bengal Assembly Election 2021) চাঞ্চল্যকর ঘটনা সোনারপুরের (Sonarpur) উত্তর বিধানসভা এলাকায়।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘রেপ করে দেব, বাচ্চাকে আছড়ে মারব’, ভোট মেটার পরও লাগাতর হুমকি, কোলের সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়লেন বধূ
‘তৃণমূলের লক্ষ্য হল মা’কে কষ্ট দাও, মাটি লুঠ করো আর মানুষের রক্ত বইয়ে দাও। কোচবিহারে কয়েকদিন আগে যাদের মৃত্যু হয়েছে তারাও কারও না কারও সন্তান। দিদির মা-মাটি-মানুষের মন্ত্রের এটাই আসল চেহারা। এরই মধ্যে আমরা শোভা মজুমদার কেউ হারিয়েছি। আর কত মায়ের প্রাণ যাবে!’ বর্ধমানের সভা থেকে বললেন মোদী।
‘দিদি এটা ভালো করেই জানেন যে এখান থেকে একবার কংগ্রেস গিয়েছে, বামফ্রন্ট গিয়েছে তারা আর ফিরে আসেনি। দিদি আপনিও একবার যাবেন আর কোনদিন ফিরে আসবেন না।’
প্রথম চার দফাতেই বাংলার মানুষ এত চার ছয় মেরেছে, যে বিজেপির আসনের সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে। এবার তো দিদির আপনাদের ওপর রাগ হবেই। বাংলার মানুষ দিদিকে ক্লিন বোল্ড করে দিয়েছে। বাংলায় দিদির দিন শেষ।
এক এক দফা ভোট মিটছে। কিন্তু বদলাচ্ছে না সন্ত্রাসের ছবিটা। কল্যাণীর পর এবার নৈহাটিতে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী। আহত কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে কল্যাণী হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিস্তারিত পড়ুন: প্রথমে গুলি, পরে চপারের কোপ, নৈহাটিতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী