AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘দিলীপ ঘোষের প্রচার নিষিদ্ধ করা উচিৎ’, শীতলকুচি নিয়ে বক্তব্যের পর কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্তব্য ছিল, "আর যদি বাড়াবাড়ি করে শীতলকুচি দেখেছে কী হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।"

'দিলীপ ঘোষের প্রচার নিষিদ্ধ করা উচিৎ', শীতলকুচি নিয়ে বক্তব্যের পর কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের
মমতাকে নিশানা দিলীপের, ফাইল ছবি
| Updated on: Apr 12, 2021 | 1:55 PM
Share

কলকাতা: কমিশনের কাছে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তুলল তৃণমূল। শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে রবিবার দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই দাবি শাসকদলের। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে নালিশ জানিয়েছে তারা। পাঠানো হয়েছে দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের সিডিও।

চতুর্থ দফার ভোট ঘিরে রক্তাক্ত হয়েছে বাংলা। শীতলকুচিতে সিএপিএফের গুলি প্রাণ হারান চারজন তৃণমূল কর্মী। রবিবার বরানগরে দলীয় প্রার্থী পার্নো মিত্রের প্রচারে গিয়ে দিলীপ ঘোষ এই ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ছিল, “আর যদি বাড়াবাড়ি করে শীতলকুচি দেখেছে কী হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।” একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “ওই দুষ্টু ছেলেরা যারা শীতলকুচিতে গুলি খেয়েছে, এই দুষ্টু ছেলেরা আর থাকবে না বাংলায়। সবে শুরু হয়েছে। যারা ভেবেছে সেন্ট্রাল ফোর্স বন্দুকটা দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছে, তারা বুঝেছে এই গুলির গরম কেমন। আর এটা সারা বাংলায় হবে। যদি কেউ আইন হাতে নিতে আসে তাকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: সুপ্রিম-রক্ষাকবচ শেষের আগের দিন ফের সিবিআই দফতরে ‘কয়লা রাজ’ লালা!

বিজেপির রাজ্য সভাপতির এ হেন বক্তব্যে হিংসার উস্কানির অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। কমিশনের কাছে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। একইসঙ্গে তারা চায় আগামী চার দফা ভোটের জন্য দিলীপ ঘোষের প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হোক।

যদিও শীতলকুচিকাণ্ডের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন এই বিজেপি সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার ডাক দিয়েছিলেন। তারপরই শীতলকুচিতে জওয়ানদের কাজে বাধা দেওয়া হয়। তারই ফলস্বরূপ চারজনের প্রাণহানি বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল হেরে গেছে বুঝতে পেরে ভোট আটকানোর চেষ্টা করছে। ওখানে যে মৃত্যু হয়েছে তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিৎ। নির্বাচনী প্রচার থেকে ব্যান করা উচিৎ।”