West Bengal Assembly Election 2021 Phase 4: ইভিএমে ‘ফুলের’ উপর লিউকোপ্লাস্ট! হতভম্ব ভোটার

West Bengal Assembly Election 2021 Phase 4: অভিযোগ, লিউকোপ্লাস্টের বিষয়টি প্রিসাইডিং অফিসার, মাইক্রো অবজারভারকে জানালেও তাঁরা তা মানতে চাননি।

West Bengal Assembly Election 2021 Phase 4: ইভিএমে 'ফুলের' উপর লিউকোপ্লাস্ট! হতভম্ব ভোটার
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 10, 2021 | 5:29 PM

বজবজ: ভোট দিতে গিয়ে ইভিএমে দেখা গেল লিউকোপ্লাস্ট লাগানো। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ নম্বর বুথে। শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে এই অভিযোগ ঘিরে চাপানউতর ছড়ায়। এমনকী প্রতিবাদ করায় ওই ভোটারকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত ওই ভোটার জানান, তৃণমূলের লোকজনই তাঁদের গাড়িতে হামলা করেছে। বজবজ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

বজবজের শিশু শিক্ষানিকেতনের পাঁচ নম্বর বুথে এদিন ভোট দিতে গিয়েছিল বক্সি পরিবার। প্রথমে গৃহকর্তা সঞ্জিত কুমার বক্সি ভোট দিতে গিয়ে দেখেন নির্দিষ্ট একটি দলের প্রতীকে লিউকোপ্লাস্ট লাগানো। বিষয়টি তিনি দায়িত্বে থাকা পোলিং অফিসারকে জানিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসেন। অভিযোগ, এরপর বাইরে বেরোতেই তিনি দেখেন, তাঁদের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে।

ভোটের সাম্প্রতিকতম খবর জানতে ক্লিক করুন

সঞ্জিত বক্সি বলেন, “আমি ভোট দিতে গিয়ে দেখি একটি প্রতীকের উপর লিউকোপ্লাস্ট লাগানো। আমি বললাম এখন কি মেশিনে এরকম লিউকোপ্লাস্ট লাগানো থাকে। একজন বললেন, একটু আগেই তো একজন ভোট দিলেন। কই তেমন তো কিছু বললেন না। এরপর উনি ঢুকে লিউকোপ্লাস্টটা খুলে নেন। এরপর আমি, আমার ছেলে, ছেলের বউ ভোট দিলাম। ভোট দিয়ে বেরিয়ে দেখি জনা কয়েকজন থান ইট দিয়ে গাড়ির কাচ ভেঙে দিয়েছে।” টিভি নাইন বাংলার সামনে সঞ্জিতবাবু বলেন, “বিজেপির প্রতীকের উপরই লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে রাখা হয়েছিল।কিন্তু আমরা ভোটকর্তাদের সে কথা বলিনি। তারপরও হামলা।”

আরও পড়ুন: West Bengal Assembly Election 2021 Phase 4: শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে ভোট স্থগিতের নির্দেশ কমিশনের

সঞ্জিতবাবুর ছেলে শুভদীপ বক্সি জানান, তিনি একজন সরকারি কর্মী। কিছুদিন আগেই ভোট করিয়ে এসেছেন। তাই সব নিয়মকানুনও জানেন। তাঁর অভিযোগ, লিউকোপ্লাস্টের বিষয়টি প্রিসাইডিং অফিসার, মাইক্রো অবজারভারকে জানালেও তাঁরা তা মানতে চাননি। উল্টে, প্রিসাইডিং অফিসার এসে তড়িঘড়ি তা তুলে ফেলে দেন। শুভদীপের আশঙ্কা, সকাল থেকেই এ ভাবে ভোটের নামে প্রহসন চলেছে।