ফোনে হুমকি, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরিতে ‘না’ আনন্দ-পরিবারের

চতুর্থ দফা ভোটের দিন সাতসকালে শীতলকুচির (Shitalkuchi) পাঠানটুলি এলাকায় ৮৫ নম্বর বুথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আনন্দের (Ananda Barman)।

ফোনে হুমকি, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরিতে 'না' আনন্দ-পরিবারের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 13, 2021 | 10:24 PM

কোচবিহার: মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) দেওয়া আর্থিক সাহায্য ও চাকরি নেবে না শীতলকুচি কাণ্ডে নিহত আনন্দ বর্মনের (Ananda Barman) পরিবার। তাদের দাবি, চাকরি বা আর্থিক সাহায্য নয়, দোষীদের শাস্তি চান। পাশাপাশি আনন্দ বর্মণের বাবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ছেলের মৃত্যুর মামলা তুলে নিতে তাঁদের কাছে বেনামে হুমকি ফোন আসছে।

গত ১০ জুলাই চতুর্থ দফা ভোটের দিন সাতসকালে শীতলকুচির (Shitalkuchi) পাঠানটুলি এলাকায় ৮৫ নম্বর বুথে দল বেঁধে ভোট দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির শক্তি প্রমুখ গোবিন্দ ও তাঁর দলবল। সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা ও ভাই আনন্দ বর্মন। একসঙ্গেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, হঠাৎই বুথে আক্রমণ চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে বোমাবাজি শুরু হয়। গুলিও চলে। তার মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আনন্দের। চোট পান বাবাও। আহত হন আরও তিন জন।

মঙ্গলবার কোচবিহার জেলা বিজেপি কার্যালয়ে এসে নেতৃত্বর সঙ্গে দেখা করে আনন্দ বর্মনের পরিবার। আনন্দের বাবা জগদীশ বর্মনের কথায়, তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমাদের টাকা নেওয়া ও চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা তৃণমূলের কাছ থেকে কোনও সুবিধা চাইনা। আমি ছেলের হত্যাকারীদের শাস্তি চাই। তার পরেই তাঁর অভিযোগ, মৃত্য মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে হুমকি ফোন আসছে। অজ্ঞাতপরিচয়ের সেই ফোনে বোমা মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: শীতলকুচির ঘটনায় হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

এ নিয়ে কোচবিহার বিজেপি জেলা সভাপতি মালতি রাভা রায়ের কটাক্ষ, “মুখ্যমন্ত্রী বুধবার শীতলকুচি আসছেন। উনি এলে আবার অশান্তি হবে। আমরা চাই শীতলকুচিকে শান্ত রাখতে চাইলে উনি নাই আসুন।”

প্রসঙ্গত, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর পালটা অমিত শাহ (Amit Shah) প্রশ্ন তুলেছেন, ‘শীতলকুচিতে নিহত রাজবংশী যুবক আনন্দ বর্মনকে  নিহতদের তালিকা রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অথচ আনন্দর পরিবারেও সন্তান হারানোর শোক রয়েছে।’

আরও পড়ুন: মমতার সভার আগেই ‘পাড়ার ভাল ছেলে’কে গুলি করে খুন! প্রতিবাদে গর্জে উঠল শহর 

এদিকে রবিবার রাতে নিহতদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে তৃণমূল। আর সোমবার দমদমের সভা থেকে আনন্দ বর্মনের মৃত্যুর জন্য সরাসরি বিজেপিকেই দায়ী করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘ভোটের দিন যে রাজবংশী ছেলেটা মারা গেছে। তাঁকে নিজেই মেরেছে বিজেপি।’