সংক্রমণের উর্ধ্বশ্বাসেই বাকি চার দফা! নীল নকসা তৈরিতে আজ সর্বদল বৈঠকে কমিশন

কোভিড পরিস্থিতির (COVID Situation) মধ্যে বাকি চার দফার (West Bengal Assembly Election 2021) ভোটে প্রচারের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতে সর্বদল বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

সংক্রমণের উর্ধ্বশ্বাসেই বাকি চার দফা! নীল নকসা তৈরিতে আজ সর্বদল বৈঠকে কমিশন
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Apr 16, 2021 | 12:11 PM

কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতির (COVID Situation) মধ্যে বাকি চার দফার (West Bengal Assembly Election 2021) ভোটে প্রচারের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতে সর্বদল বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের চার দফা হয়ে গেছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে রাজ্যবাসীর।

নির্বাচনের এখনও চার দফা ভোট বাকি। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজ বেদী ভবনে এক সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবারই ইসি অন্দরে জল্পনা উঠেছিল শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোট হতে পারে ২৪ এপ্রিল। কিন্তু বাহিনী সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই সেই জল্পনায় জল ঢেলেছে কমিশন। তবে স্বাস্থ্য সচেতকদের একাংশের প্রশ্ন এই পরিস্থিতিতে কেন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না নির্বাচনী প্রচার? প্রচারে বাইরের রাজ্য থেকে নেতানেত্রীরা আসছেন, বাংলায় চলছে লাগাতর রোড শো, সভা চলছে। হাইকোর্টে নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সভাগুলিতে কোভিড বিধি মানা হয়নি। প্রত্যেকের মুখে ছিল না মাস্কও। এদিনের বৈঠক অত্যন্ত জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলি কী মনে করছে, তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিতে চায় কমিশন। ইতিমধ্যেই বামেরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বড় কোনও সভা করবেন না। তিন দফা ভোট একসঙ্গে করানোর পক্ষে তৃণমূল ও কংগ্রেসও। সে ক্ষেত্রে এ দিনের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

দৈনিক সংক্রামিতের সংখ্যা এক দিনে প্রায় নশোর কাছাকাছি বেড়েছে বাংলায়। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার ছবি উদ্বেগজনক। পজিটিভিটি রেটে বড়সড় লাফ বাংলার। জাতীয় গড়কে ছাপিয়ে যায়। গতকাল দেশে করোনার পজিটিভিটি রেট ছিল ১৪.৪৫ শতাংশ।

পশ্চিমবঙ্গে পজিটিভিটি রেট ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পজিটিভিটি রেটের এই দুরন্ত বৃদ্ধিতে চিন্তায় অনেকে। বিশেষভাবে চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার করোনা-ছবি। এই দুশ্চিন্তার মধ্যেও কিছুটা সুখবর মিলেছে টিকা নিয়ে। গত কদিন ধরে রাজ্যে যে টিকা-সঙ্কট চলছে, তা কাটার সম্ভাবনা। সোমবার ও বুধবার মিলিয়ে ৭ লক্ষ কোভিশিল্ড এসেছে রাজ্যে। বুধবার আসে ২ লক্ষ কোভ্যাক্সিনও। আরও ৫ লক্ষ কোভিশিল্ড আসছে।

আরও পড়ুন: Corona Cases and Lockdown News: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২ লাখ ১৭ হাজার, ১১০০ পার মৃতের সংখ্যা

তবে একটা বিষয় ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্যমহলকে। হাসপাতালগুলিতে বেডের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে বেড বাড়ানো হলেও, তা পর্যাপ্ত নয়। গত বছর ঠিক এই সময় বেসরকারি হাসপাতাল, হোমগুলিকে অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। এবার কেন তা করা হচ্ছে না, কেন সেফ হোম চালু করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও এম আর বাঙুর হাসপাতালে বেডের সংখ্যা পর্যাপ্ত হলেও, বাকি হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। আরজিকর হাসপাতালে বেডের সংখ্যা মোটে ৬০, এনআরএসে ১৫০। তাও সিসিইউ আইসিইউতর ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। গত বার দৈনিক সংক্রমণ চার হাজারের গণ্ডি পেরোয়নি। এবার তা ৬ হাজার পেরিয়েছে। এসএসকেএমও এবার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।