‘পুলিশ দিয়ে সব নিয়ন্ত্রণ হয় না, সচেতন হতে হবে নেতাদেরও’, ভোট আবহে করোনার বাড়বাড়ন্তে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

পঞ্চাম দফা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021) সুষ্ঠভাবে করতে হবে কমিশনকে (Election Commssion)। পঞ্চম দফার ভোট নিয়ে আগামী সোমবার রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিশনকে। স্পষ্ট করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

'পুলিশ দিয়ে সব নিয়ন্ত্রণ হয় না, সচেতন হতে হবে নেতাদেরও', ভোট আবহে করোনার বাড়বাড়ন্তে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 16, 2021 | 1:25 PM

কলকাতা: পঞ্চাম দফা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021) সুষ্ঠভাবে করতে হবে কমিশনকে (Election Commssion)। পঞ্চম দফার ভোট নিয়ে আগামী সোমবার রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিশনকে। স্পষ্ট করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ. সব কিছু নিয়ন্ত্রণ পুলিশ দিয়ে করানো যায় না। রাজনৈতিক দল তথা ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই জানিয়ে দিল হাইকোর্ট।

করোনা সংক্রমণের বাড়াবাড়িতে ভোটপ্রচার নিয়ে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এর আগে দুটি মামলার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, নির্বাচনী প্রচার, সভাগুলিতে যাতে কোভিড বিধি মানা হয়। অতিরিক্ত জমায়েত না হয়, সকলে যাতে মাস্ক পরেন। এই বিষয়গুলি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেলাশাসকদের। তবে এই নির্দেশিকার পরেও কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই সচেতনার ছবি ধরা পড়েনি। মামলাকারী এই বিষয়টি উল্লেখ করেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। এদিন, শুনানির সময়েও মামলা এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এই প্রসঙ্গ উত্থাপনের পরই প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি মনে করা হয়, সব বিষয়গুলির দায়ভার কেবল পুলিশের ওপর পড়ছে, তাহলে সেটা সঠিক নয়। পুলিশের একার পক্ষে বিপুল জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা পাশাপাশি করোনা সচেতনামূলক বার্তা দেওয়া সম্ভব নয়। নেতাদেরও অনেকটা বড় দায়িত্ব রয়েছে।

উল্লেখ্য, এদিন দুপুর দুটো থেকে শুরু হবে সর্বদলীয় বৈঠক। ঠিক তার আগেই হাইকোর্টে এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বদলীয় বৈঠকে কমিশন যাতে নেতাদের সচেতনতার বার্তা দেয়, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দেন প্রধান বিচারপতি। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায়, “হাইকোর্টের যথাযথ পর্যবেক্ষণ। তবে এটা কেন্দ্রেও বোঝা উচিত। ওরাই পুলিশ দিয়ে সবটা করাতে চাইছে।”

আরও পড়ুন: সংক্রমণের উর্ধ্বশ্বাসেই বাকি চার দফা! নীল নকসা তৈরিতে আজ সর্বদল বৈঠকে কমিশন

রাজনৈতিক দলগুলির মতামতকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে ভোট প্রচার বন্ধের দাবিতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন স্বাস্থ্য সচেতকদের একাংশ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি ইতিমধ্যেই বলেছেন, “সব সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শেষ তিন পর্যায়ের ভোট একসঙ্গে করার প্রস্তাব কাঙ্খিত ও বুদ্ধিমানের কাজ।” তাঁর বক্তব্য, গত এক মাসে রাজনৈতিক দলগুলি লাগাতর প্রচার করেছেন। সেক্ষেত্রে অতিমারি পরিস্থিতিতে শেষ কয়েকটি দফায় নতুন করে প্রচার না করলেও কোনও ক্ষতি হবে না। বরং তাতে কিছুটা হলেও সংক্রমণের মাত্রা কমবে।