Sayani Ghosh: প্রয়াত মা-দাদার ফটো বুকে চেপে চোখ ছলছল সায়নীর, শান্ত হলেন লহমায়…
Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা নির্বাচনে জিতে মা এবং দাদাকেই সবচেয়ে বেশি মিস করছেন সায়নী। আজ তাঁরা থাকলে, সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। মেয়েকে সাফল্যের উচ্চতায় দেখতে চেয়েছিলেন তাঁর মা। নির্বাতনে জিতেই মা-দাদার ছবি বুকে আগলে কাঁদলেন...
সায়নী ঘোষের মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে। সেই সঙ্গে চিকচিক করে উঠছে তাঁর চোখ। বুকের মধ্যে থেকে একটা বড় পাথর নেমে গিয়েছে মঙ্গলবার রাতেই। এবারের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয় লড়েছিলেন সায়নী। পরাজিত করেছেন তাঁর দুই প্রতিপক্ষ–সিপিআইএমের সৃজন ঘোষ এবং বিজেপির অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ৩১ বছর বয়সি তরুণী রাজনীতিক। যাঁকে ২০২১ সালে আসানসোল থেকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল এবং সেখানে পরাজিত হয়ে ভয়ানকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী। সেই ভেঙে পড়াই যে জ্বলে ওঠা ছিল সায়নীর কাছে। লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে দিনরাত এক করে দিয়েছিলেন তিনি। জয়ের খবর পেতে না-পেতেই ছুট দিয়েছেন এলাকার কালী এবং শিবের মন্দিরে। সেখানে গিয়ে প্রথমেই ঈশ্বরের পায়ে মাথা ঠেকিয়েছেন সায়নী। তারপর বাড়িতে ফিরে পরিবারের সঙ্গে একটি সুন্দর ছবি পোস্ট করেছেন।
সায়নীর বাড়িতে কে-কে থাকেন? ফ্ল্যাটে নয়, তিনতলা বাড়িতে থাকেন সায়নী। লকডাউনের সময় ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ এসে সায়নী বলেছিলেন, করোনার জন্য পরিবারের সঙ্গে থাকছেন তিনি। তিনতলা বাড়িতে বাবা-মা এবং দাদার সঙ্গে বেড়ে ওঠা তাঁর। সেটাই সায়নীর ছোট্ট পৃথিবী। কিন্তু সেই পৃথিবী থেকে দু’জন বাড়ি গিয়েছেন চিরকালের মতো। একজন সায়নীর দাদা, যিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। এবং দ্বিতীয়জন সায়নীর মা, যাঁকে কিছুদিন আগেই হারিয়েছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর এক পাশে বাবা, এক পাশে বাড়ির পরিচারিকা, দুটি পোষ্যকে নিয়ে ছবি তুলেছেনষ। কোলে দাদা এবং মায়ের ফটোও দেখা যাচ্ছে সেই ছবিতে। সায়নী ক্যাপশনে লিখেছেন, “মা, মাটি, মানুষের ভালবাসায়… যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের কাছে আমি ঋণী। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রমাগত সমর্থন, ভালবাসা এবেং সাহসের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। জয় বাংলা!”
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল থেকে হেরে যাওয়ার পর তৃণমূল কিন্তু বিশ্বাস হারায়নি সায়নীর থেকে। নির্বাচনে হেরেও দলের সর্বভারতীয় যুব নেত্রীর আসনে বসেছেন সায়নী। আজ সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখলেন যুব-নেত্রী। তাঁর সামনে এখন আরও বড় দায়িত্ব।