Asish Vidyarthi-Piloo Vidyarthi: আশীসের বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আবেগঘন পোস্ট মুছলেন প্রথম স্ত্রী, এমন কী লেখা ছিল তাতে?
Ashish Vidyarthi Marriage: প্রায় ২২ বছর আগে পিলুর জীবনে আসেন আশীস। দু'জনে দু'জনকে ভালবেসে বিয়ে করেন। সব ঠিকঠাকই চলছিল। এক সন্তানও রয়েছে তাঁদের। তবে কয়েক বছর ধরেই সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে।
ষাট বছর বয়সে নতুন সংসার পেতেছেন অভিনেতা আশীস বিদ্যার্থী (Asish Vidyarthi)। এতে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে না তাঁকে। তাঁর বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)আবেগঘন পোস্ট প্রথম স্ত্রী পিলু বিদ্য়ার্থীর (Piloo Vidyarthi)। পরে সেই পোস্ট (Post) আবার মুছেও দেন তিনি। কী লেখা ছিল সেই পোস্টে?
প্রায় ২২ বছর আগে পিলুর জীবনে আসেন আশীস। দু’জনে দু’জনকে ভালবেসে বিয়ে করেন। সব ঠিকঠাকই চলছিল। এক সন্তানও রয়েছে তাঁদের। তবে কয়েক বছর ধরেই সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। এই বিষয়ে অভিনেতার বক্তব্য, “প্রায় ২২ বছর আগে আমাদের দেখা হয়। আমরা এতটা সময় একসঙ্গে অনেকটা পথ পার করেছি। কিন্তু ২২ বছর পর শেষ দু-আড়াই বছরে আমরা বুঝতে পারি আমাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে ফারাক তৈরি হয়েছে। বুঝতে পারি মনের মিল হচ্ছে না। আমরা চেয়েছিলাম বরাবর নিজেদের জন্য খুশি থাকতে, তাতে আসলে খুশিতে নয়, দুঃখেই বাঁচতাম। এরপরই আমরা একমত হয়ে আলাদা ভাবে আগামীতে পথ চলার সিদ্ধান্ত নিই। ” তবে বিচ্ছেদের পরও নামের পাশ থেকে বিদ্যার্থী পদবী সরাননি পিলু ওরফে রাজশী। প্রাক্তন স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে কি মেনে নিতে পারেননি তিনি? সন্দেহ তৈরি হয়েছে তাঁর এক পোস্ট কে ঘিরে।
আশীসের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় পিলু লেখেন, “যে তোমার কাছের মানুষ, সে কখনও তোমার মূল্য দিতে ভুলবেন না। সে এমন কোনও কাজ করবে না, যাতে তুমি কষ্ট পাও।” আরও লেখেন, “যাবতীয় সন্দেহ দূর হয়েছে। এবার ধন্দ কেটে গিয়ে সব কিছু স্পষ্ট ভাবে ধরা দিচ্ছে। জীবনে শান্তি আসুক। তুমি নিজে যথেষ্ট শক্তিশালী। ঈশ্বরের আশীর্বাদ সঙ্গে নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করতে হবে।” শেষে যোগ করেন, “জীবন নামের গোলকধাঁধায় হারিয়ে যেও না।” পরে পোস্ট মুছে ফেলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তাঁর অবশ্য যুক্তি, সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে অতটাও অবগত নন তিনি। তাই অতটা গুরুত্ব দিয়ে কিছু লেখেন না।