ফেসবুক কি টাকা কমিয়ে দিয়েছে? কোন সত্যি সামনে আনলেন স্যান্ডি সাহা?
TV9 বাংলার প্রশ্নের উত্তরে স্যান্ডি খোলসা করলেন, ''আমি ২০১৭ সাল থেকে কনটেন্ট তৈরি করছি। প্রথম দুই বছর কোনও টাকা পাইনি। নিজের পছন্দের কাজ বলেই এটা করতাম। তারপর মানিটাইজেশন অন হয়। কিন্তু এই বছর ফেসবুক টাকার পরিমাণ দশভাগের একভাগ করে দিয়েছে। আমার নিজের কনটেন্টের ক্ষেত্রেই সেটা দেখছি।''

বাংলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের মধ্যে স্যান্ডি সাহা অত্যন্ত পরিচিত নাম। ২০১৭ থেকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন স্যান্ডি। সম্প্রতি তিনি একটা বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন। কিন্তু পরিচালক ভিক্টো মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে মানুষের প্রাণ কেড়েছেন। সেদিন পার্টিতে স্যান্ডি থাকার কারণে, ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়েছেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটার। এই পরিস্থিতিতে ফেসবুক থেকেও রোজগার কি আগের মতো রয়েছে? TV9 বাংলার প্রশ্নের উত্তরে স্যান্ডি খোলসা করলেন, ”আমি ২০১৭ সাল থেকে কনটেন্ট তৈরি করছি। প্রথম দুই বছর কোনও টাকা পাইনি। নিজের পছন্দের কাজ বলেই এটা করতাম। তারপর মানিটাইজেশন অন হয়। কিন্তু এই বছর ফেসবুক টাকার পরিমাণ দশভাগের একভাগ করে দিয়েছে। আমার নিজের কনটেন্টের ক্ষেত্রেই সেটা দেখছি।” স্যান্ডি যে হিসাব দিলেন, তাতে স্পষ্ট, ধরা যাক একজন আগের বছর মাসে এক লক্ষ টাকা পেতেন ফেসবুক থেকে। ১০টা কনটেন্ট পোস্ট করে। তা হলে এখন তাঁকে ১০০টা কনটেন্ট পোস্ট করতে হতে পারে, ওই এক লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্য। স্যান্ডি যোগ করলেন, ”প্রতিদিন এত বেশি কনটেন্ট তৈরি করার কাজটা সহজ নয়। সেক্ষেত্রে একটা টিম রাখতে হয়। টিমের সকলকে টাকা দিয়ে তারপর পুরো বিষয়টা ডিজাইন করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। যাঁরা অত্যন্ত পরিচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটার, যেমন কিরণ দত্ত, তাঁদের বিপুল অর্থের ব্র্যান্ড এনডর্সমেন্ট থাকে। কিন্তু সমস্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের ক্ষেত্রে সেটা হবে না। এই বছর থেকে যাঁরা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের উপর নজর দিচ্ছেন, তাঁদের কবে মানিটাইজেশন অন হবে, সেটাও প্রশ্ন। আমার বাড়ির ব্যবসা আছে। সংসার চলে না এই আয়ের উপর। কিন্তু যাঁরা কনটেন্ট ক্রিয়েশনকেই পেশা হিসাবে নেবেন ভাবছেন, তাঁদের বলব, অন্য কিছু ভেবে রাখুন। কারণ এই বিষয়টায় সাংঘাতিক অনিশ্চয়তা রয়েছে। আর যে কোনও সময়ে পেজ সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হয়ে, উপার্জন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।”
