কাজ নেই প্রায় দু’বছর, ফুটপাতে ঘুগনি বিক্রি করছেন ‘কে আপন কে পর’ সিরিয়ালের পরিচালক!
Bengali Serial: স্টুডিয়ো পাড়ায় কখন যে কী হয় তা বলা বড়ই মুশকিল। এই কাজ আছে তো এই কাজ নেই। প্রতিটি পরিচালক থেকে নায়ক, নায়িকা একবাক্যে এ কথা মেনে নেয় যে তাঁদের ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত। এই ঝুলিতে কাজ আছে তো এই কাজ নেই। এই পরিস্থিতির শিকার বাংলা সিরিয়ালের পরিচালক অয়ন সেনগুপ্ত।
স্টুডিয়ো পাড়ায় কখন যে কী হয় তা বলা বড়ই মুশকিল। এই কাজ আছে তো এই কাজ নেই। প্রতিটি পরিচালক থেকে নায়ক, নায়িকা একবাক্যে এ কথা মেনে নেয় যে তাঁদের ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত। এই ঝুলিতে কাজ আছে তো এই কাজ নেই। বড় পর্দার ক্ষেত্রে অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে কলাকুশলী—প্রত্যেকের যাত্রাপথ আরও খানিকটা বেশি কঠিন। সিরিয়ালপাড়ার বাড়বাড়ন্ত অবশ্য অনেকটাই সাহায্য় করেছে ছোট পর্দার শিল্পীদের।
বলা যেতে পারে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কার ভাগ্য কখন বদলে যায় তা বলতে পারা খুবই কঠিন। যেমন সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ছোট পর্দার পরিচালক অয়ন সেনগুপ্তর একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে পরিচালক এবং তাঁর স্ত্রী রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ঘুগনি বিক্রি করতে। সাধারণত সিরিয়াল পাড়ার পরিচালকদের খুব বেশি প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায় না। গুটিকয়েক পরিচালক আছেন যাঁদের নাম অল্প কিছু মানুষ জন জানেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অয়ন।
একটি ভিডিয়ো পোস্ট হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, “গত ২ বছর তিন মাস ধরে কাজ নেই বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ‘কে আপন কে পর’, ‘দীপ জ্বেলে যাই’, ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ এমন অনেক সিরিয়াল পরিচালনা করেছি আমি। আমার স্ত্রীও অভিনয় করেন। এই মুহূর্তে ‘গীতা এল এল বি’ সিরিয়ালে অভিনয় করছেন। অনেক দিন কোনও কাজ নেই বলেই এমন একটা দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিলাম।” প্রতিদিন সন্ধেবেলা থেকেই নানা ধরনের মুখরোচক পাওয়া যাচ্ছে পরিচালকের এই দোকানে। শুধু কিমা ঘুগনি নয় এখানে পাওয়া যাচ্ছে লোটে মাছের চপ, ডিমের ডেভিল-সহ আরও অনেক কিছু।