‘ছেলের জন্মের আগে দু’বার মিসক্যারেজে ভেঙে পড়েছিলাম’, বললেন গীতা
Geeta Basra: গীতা জানিয়েছেন, মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার ২০১৯-এ মিসক্যারেজ হয় তাঁর। সে সময় হরভজন তাঁর সঙ্গে ছিলেন না।
কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় বারের জন্য মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী গীতা বসরা। ক্রিকেটার হরভজন সিং এবং গীতার ঘরে এসেছে পুত্র সন্তান। কিন্তু ছেলের জন্মের আগে দু’বার মিসক্যারেজ হয়ে গিয়েছিল গীতার। ছেলে জোভানকে সে কারণেই ‘রেনবো বেবি’ বলে সম্বোধন করেন তাঁরা। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে এ ঘটনার কথা জানিয়েছেন গীতা স্বয়ং।
গীতা জানিয়েছেন, মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার ২০১৯-এ মিসক্যারেজ হয় তাঁর। সে সময় হরভজন তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। স্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে পঞ্জাব থেকে তড়িঘড়ি মুম্বই ফেরেন হরভজন। ২০২০-র লকডাউনের মধ্যে দ্বিতীয়বার মিসক্যারেজ হয় তাঁর। সে সময় অবশ্য হরভজন তাঁর পাশেই ছিলেন। গীতা মনে করেন, এই ক্ষতি একমাত্র কোনও মায়ের পক্ষেই বোঝা সম্ভব।
সব মহিলাদের সাহস দিতে চান গীতা। মিসক্যারেজ হওয়ার পর কোনও মেয়ে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে ঠিকই। কিন্তু নিরাশ হতে বারণ করছেন তিনি। গীতার কথায়, “গত দু’বছর আমার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছে। একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। মিসক্যারেজ হলে হরমোনের অনেক সমস্যা হয়। ফের মা হওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু আমি নিরাশ হইনি। দ্বিতীয় মিসক্যারেজের পর পঞ্জাবে শ্বশুরবাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। অনেক পরে মুম্বইতে ফিরে আসি। প্রথম তিন মাস খুব সাবধানে ছিলাম। তবে যোগা আমাকে সুস্থ থাকতে খুব সাহায্য করেছে।”
প্রেগন্যান্সির আগে থেকেই যোগার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রেখেছিলেন গীতা। শুধু প্রেগন্যান্ট মহিলারাই নন। প্রত্যেকেরই যোগার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। তবে একটা বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছেন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া যোগা করা বিপদজনক। তা মনে করিয়ে দিয়েছেন গীতা।
প্রায় তিন বছর ডেট করার পর ২০১৫ সালে হরভজনের সঙ্গে এবং গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী গীতা বসরা। ২০১৬ সালে প্রথম কন্যা সন্তান হিনায়ার জন্ম। ৩৭ বছর বয়সে ফিল্ম জগৎ থেকে সাময়িক ভাবে সরে আসেন গীতা। আপাতত প্রায়োরিটি সন্তান। ছেলে কিছুটা বড় হলে ফের কাজে ফিরতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন, গোয়ার পরে মুম্বইতে একসঙ্গে কিম-লিয়েন্ডার, সত্যিই কি সম্পর্কে রয়েছেন?