Jackie Shroff and Suniel Shetty: জ্যাকির অসুস্থ বাবার সেবার জন্য নিজের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন সুনীল!
Jackie Shroff and Suniel Shetty: সুনীল ওই শোয়ে সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চনকে জানান, তাঁর এবং তাঁর সন্তানদের কাছে জ্যাকি শ্রফ নাকি ছিলেন আদর্শ। আবার জ্যাকির বাবা কাকুভাই হরিভাই শ্রফের শারীরিক অসুস্থতার সময় গোটা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সুনীল।
জ্যাকি শ্রফ এবং সুনীল শেট্টি। বলিউডের সমসাময়িক দুই অভিনেতা। সম্প্রতি কৌন বনেগা ক্রোড়পতি সিজন ১৩-এ শানদার শুক্রবার-এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৫০ বছরের বন্ধুত্ব তাঁদের। জীবনের নানা সময় কী ভাবে একে অপরের পাশে থেকেছেন, সেই কাহিনি প্রকাশ্যে জানালেন দুই অভিনেতা।
সুনীল ওই শোয়ে সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চনকে জানান, তাঁর এবং তাঁর সন্তানদের কাছে জ্যাকি শ্রফ নাকি ছিলেন আদর্শ। আবার জ্যাকির বাবা কাকুভাই হরিভাই শ্রফের শারীরিক অসুস্থতার সময় গোটা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সুনীল। ফলে কেরিয়ারের পেশাদার লড়াই নয়। বরং ব্যক্তি জীবনের ভাল এবং খারাপ সময়ে একে অপরের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন।
জ্যাকি বলেন, “আমার বাবা যখন অসুস্থ হলেন, ছোট বাড়ি, অনেক লোক, থাকার সমস্যা হত। বাবার ঠিক মতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হত না। সুনীল ওর বাড়ি আমাদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিল। বলেছিল, বাবাকে আমার বাড়িতে রাখো। আমি ১০-১৫ দিন বাবাকে ওর বাড়িতে রেখেছিলাম। ফলে আমাদের বন্ডিংটা অন্যরকম।”
View this post on Instagram
জ্যাকিকে দাদা বলে নাকি সম্বোধন করেন সুনীল। জ্যাকির দেওয়া জীবনের এক শিক্ষা সুনীল আজীবন মনে রাখবেন। তিনি জানান, এক সময় জ্যাকি নাকি তাঁকে বলেছিলেন, যখন এক কামরার ঘরে থাকতেন, তখন মা কাশলেও জানতে পারতেন। আর বড় বাড়িতে চলে যাওয়ার পর মা কখন মারা গেলেন, তাও ছেলের অজানা থেকে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, জ্যাকির মা ২০১৪-এ স্ট্রোকের কারণে মারা যান। একই বাড়িতে থেকেও মায়ের মৃত্যুর খবর অভিনেতা জানতে পারেন পরের দিন ভোরে। আজও সুনীল এবং জ্যাকি নাকি একে অপরকে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন না। বরং তাঁরা বন্ধু। তাঁদের বন্ধুত্ব সামনে থেকে দেখে আপ্লুত অমিতাভ বচ্চনও।
কিছুদিন আগে ইন্ডাস্ট্রিরই এক প্রিয়জনকে হারালেন জ্যাকি। বর্ষীয়ান মেকআপ আর্টিস্ট শশী সত্যমের প্রয়াণ জ্যাকির কাছে আত্মীয় বিয়োগের মতোই ছিল। বহু বছর ধরে বলিউডে কাজ করেছেন শশী। দীর্ঘ সময় জ্যাকি শ্রফের ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্ট ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শশীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন জ্যাকি স্বয়ং। প্রায় ৩৭ বছর শশীর সঙ্গে কাজ করেছেন জ্যাকি। জ্যাকির স্ত্রী আয়েশাও শশীর প্রয়াণে সোশ্যাল ওয়ালে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন।
জ্যাকি লিখেছিলেন, ‘শশী দাদা সব সময়ই আমার হৃদয়ে থাকবে। ৩৭ বছর ধরে আমার মেকআপ করেছিলেন। চলে গেলেন…।’ আয়েশা লিখেছিলেন, ‘শান্তিতে ঘুমোন শশী দাদা। ‘হিরো’ ছবি থেকে এখনও পর্যন্ত আমার স্বামীকে যাতে হ্যান্ডসাম দেখতে লাগে, তার ব্যবস্থা আপনি করেছিলেন।’ সুনীল শেট্টি, রাহুল দেব, গুরমিত চৌধুরী, দিব্যা দত্তর মতো অভিনেতারাও শশীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন। বিভিন্ন ছবিতে তাঁর অসাধারণ মেকআপের কথা বারংবার উঠে এসেছিল স্মৃতিচারণায়। শুধু তাই নয়, একজন ভাল মানুষ হিসেবেও শশীকে মনে রাখতে চান ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরা।
আরও পড়ুন, Nusrat Jahan: ‘ইউ ওয়ান্ট মি, আই ওয়ান্ট ইউ বেবি’, কাকে বললেন নুসরত?