২০০৩ সালে ‘খোয়াইশ’ ছবির হাত ধরে হিন্দি ছবির জগতে প্রবেশ করেছিলেন অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াত। তার পরের বছর মুক্তি পায় ‘মার্ডার’। ইন্ডাস্ট্রির বোল্ড অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত তিনি। সাহসী চরিত্রে অভিনয় করেছেন জড়তাহীন ভাবে। কিন্তু তাঁর অভিনয় জগতে প্রবেশ সহজ বিষয় ছিল না। অনেক লড়াই করে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন তিনি। মল্লিকার পরিবার কোনওদিনই চাননি তিনি অভিনয় জগতে আসুন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জীবনের বেশ কিছু না-বলা কথা ব্যক্ত করেছেন মল্লিকা। পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন, বাবার পদবী পরিত্যাগ করেছেন অভিনেত্রী। মায়ের পদবী শেরাওয়াতই তাই ব্যবহার করেন তিনি।
মল্লিকা বলেছেন, “পরিবারের থেকে সারাজীবন অনেক বাধা পেয়েছি। পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি ছোট থেকে। আমার বাবা অত্যন্ত রক্ষণশীল মানুষ। মা-ও তাই, দাদাও তাই। কেউ আমার পাশে ছিলেন না। আমাকে কেউ সাপোর্ট করেননি কোনওদিন। একটা সময় আমি খুবই সরল ও সাদাসিধে মনের মানুষ ছিলাম।”
তবে ছোট থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন মল্লিকা। অভিভাবকদের অমত আছে জেনে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। সোজা মুম্বইয়ে চলে এসেছিলেন নিজের স্বপ্নকে সত্যি করবেন বলে। জানিয়েছেন, তিনি যদি সেদিন বাড়ি থেকে না পালিয়ে আসতেন, তাঁর বিয়ে হয়ে যেত। বলেছেন, “আমার ভাগ্য ভাল ছিল, যে এই ইন্ডাস্ট্রি আমাকে ফিরিয়ে দেয়নি। আমি আমার স্বপ্নকে শেষমেশ সত্যি করতে পেরেছি।”
বাড়ির মেয়ে পালিয়েছে, এটা মেনে নেওয়া বোধহয় কোনও বাবা-মায়ের পক্ষেই সহজ বিষয় নয়। সহজ হয়নি মল্লিকার বাবা-মায়ের ক্ষেত্রেও। তিনি বলেন, “আমার কাছে চিরকালই টাকা ছিল। অনেক গয়না ছিল। মুম্বইয়ে পেট চালানোর জন্য সব বিক্রি করে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরিবারের থেকে দূরে চলে এসে মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিলাম আমি। বাবা আমাকে ত্যাজ্য করেছিলেন। বলেছিলেন আমার সঙ্গে আর কোনও সম্পর্কই রাখবেন না। এই কথা শুনে আমার মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।”
মুম্বইয়ে গেলে প্রত্যেককেই সেখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেকটা সময় খরচ করতে হয়। মল্লিকাকেও হয়েছিল। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: Devlina Kumar: ট্রেনের প্যাসেজে নাচলেন, তারপর কী হল দেবলীনা-গৌরবের?
আরও পড়ুন: Baiju Bawra: ভন্সালীর ‘বৈজু-বাওরা’তে প্রধান জুটি হিসেবে থাকছেন এই দুই তারকা