AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bollywood: ছবির এই খুদে আজ প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, চিনতে পারছেন?

Rasika Dugal: মুখের হাসিটি আজও অমলিন তার। এ বার কি অভিনেত্রী কে, তা আন্দাজ করা যাচ্ছে?

Bollywood: ছবির এই খুদে আজ প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, চিনতে পারছেন?
কে এই অভিনেত্রী? ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 8:05 PM
Share

মাথার দুদিকে দুটি বিনুনি। পরিচ্ছন্ন স্কুল ড্রেস। পিঠে ব্যাগ। হাতে ঝোলানো জলের বোতল। এই খুদে এখন এক অভিনেত্রী। চিনতে পারছেন?

অথবা হাতে ফুলের বোকে নিয়ে হাসিমুখে এক খুদে তাকিয়ে ক্যামেরায়। সে দিনও সে জানত না, ভবিষ্যতে অসাধারণ কিছু পারফরম্যান্স দর্শককে উপহার দেবে। ভালবাসার অভিনয় এক সময় পেশা হয়ে উঠবে। মুখের হাসিটি আজও অমলিন তার। এ বার কি অভিনেত্রী কে, তা আন্দাজ করা যাচ্ছে?

ইনি রসিকা দুগল। বেছে বেছে কাজ করেন। অভিনয় নিয়েই পড়াশোনাও করেছেন। এ হেন রসিকা নিজের ছোটবেলার ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনুরাগীরা পুরনো ছবি দেখে অবাক। নস্ট্যালজিক রসিকা নিজেও।

রসিকা লিখেছেন, “আমি জামশেদপুরে বড় হয়েছি। ওখানে বেশিরভাগ বাচ্চাদের জিজ্ঞেস করা হত, বড় হয়ে কী হবি? তারা উত্তর দিত, ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার। আমিও ব্যতিক্রম ছিলাম না। কিন্তু কলেজে যাওয়ার পর সব কিছু বদলে গেল। আমার চারপাশে বহু প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন। কেউ নৃত্যশিল্পী, কেউ অভিনেতা। একটা নতুন পৃথিবীর দরজা খুলে গিয়েছিল।”

রসিকা আরও জানান, তিনি কলেজে যাওয়ার আগেও নাটক করেছিলেন। কিন্তু সেটা পেশাদার মঞ্চে করতে পারবেন, তা ভাবেননি। সে সময় এফটিআইআই-এর অ্যাক্টিং কোর্স সম্পর্কে জানতে পারেন। হঠাৎই আবেদন করেন এবং সুযোগ পান। রসিকার কথায়, “ওরিয়েন্টেশনের সময় আমার মনে হয়েছিল, এ কোথায় এলাম! কিন্তু ছয় মাস পর বুঝেছিলাম এটাই সেই জিনিস যা আমি করতে চেয়েছিলাম।”

অ্যাক্টিং কোর্স শেষ করে রসিকা মুম্বই চলে যান। স্বপ্ন ছিল, অভিনেতা হবেন। এক এক দিনে পাঁচটা করে অডিশন দিতেন। “আমার কাছে বিষয়টা খুব সহজ ছিল। আমার কাজের প্রয়োজন ছিল। আর ওদের হাতে কাজ ছিল। ছোট চরিত্রে অভিনয় যাতে না করি, সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল আমাকে। কিন্তু তবুও ১৪টা ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। তার মধ্যে অনুরাগ কাশ্যপের ‘নো স্মোকিং’ও ছিল”, বলেন রসিকা।

এরপর ‘কেশয়’ নামের একটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান রসিকা। শুটিংয়ে থার্মোকল শিট ধরার কাজও করেছেন তিনি। কিন্তু সে ছবির পরে শিকাগো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়। চলচ্চিত্র সমালোচনায় রসিকার কাজের প্রশংসা হয়। এরপর একে একে ইরফান খান, টিসকা চোপড়া, তিলোত্তমা সোমের মতো শিল্পীর সঙ্গে কাজের সুযোগ পান তিনি। তবে স্ট্রাগল তখনও থামেনি।

রসিকা শেয়ার করেছেন, “সে সময় প্রায় পাঁচটা ছবি আমি সই করেছিলাম। কিন্তু একটাও তৈরি হয়নি। কারণ প্রযোজকের মনে হয়েছিল, আমি সেলেবেল নই। আমার কেরিয়ারের সেটা সবথেকে খারাপ সময়। তবে কেন অভিনেতা হলাম, এ প্রশ্ন নিজেকে করতাম না। বরং ভাল কিছু নিশ্চয়ই হবে, এই আশা করতাম। এরপরই একদিন নন্দিতা দাসের ফোন পাই। আমাকে ‘মান্টো’তে কাস্ট করেন। তারপর থেকেই সব কিছু বদলে যায়।” এরপরই ‘মির্জাপুর’-এর মতো ওয়েব সিরিজে সুযোগ পান রসিকা। আজ তাঁর মনে হয়, “ডাক্তার না হয়ে অভিনেত্রী হওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাতে এতটুকু ভুল ছিল না। সব সময় নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। আর সেটাই তাঁর এগিয়ে যাওয়ার রসদ।”

আরও পড়ুন, Bigg Boss OTT: বিগ বস ওটিটি জেতার উপযুক্ত ছিলেন দিব্যা? মুখ খুললেন রাকেশ