করিনার সৎ মেয়ে সারা আলি খান। তাঁরই মতো হয়েছেন তিনি। পাপারাৎজ়ির ধাক্কা খেয়ে ছবি তুলবেন না বলেই দিলেন সটান। অতীতে করিনাও এমনটা করেছেন। পাপারাৎজ়িরা যদি তাঁকে ধাক্কা দেন কখনও, গাড়িতে উঠে রওনা দিয়ে দেন করিনা। তেমনটাই করলেন সারা। সকলেই জানেন এক্কেবারেই দেমাক নেই সারার। পাপারাৎজ়িদের কেউ অসম্মান করলে, তিনিই সবার আগে প্রতিবাদ করেন। তাঁর দেহরক্ষীরা এর জন্য বকুনিও খান সারার থেকে। আগেও তেমনটাই ঘটেছে। নবাব পরিবারের মেয়ে হয়ে লোকাল ট্রেনে চাপতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না সারা। কিন্তু তাঁকে যদি কেউ ধাক্কা দিয়ে চলে যান, তিনিও প্রতিবাদ করেন নবাবি স্টাইলে। সম্প্রতি তেমনই নিদর্শন দেখা গেল।
যখনই পাপারাৎজ়িদের মুখোমুখি হন সারা, দাঁড়িয়ে যান। ছবি তুলতে দেন। গল্প করেন। কুশল বিনিময় হয় তাঁদের মধ্যে। কিন্তু এবার আর তেমনটা ঘটল না। একটি শুটিংয়ে এসেছিলেন সারা। একজন পাপারাৎজ়ি ছবি তুলতে গিয়ে ভুলবশত ধাক্কা দিয়ে ফেলেন সারাকে। বেজায় চটে যান অভিনেত্রী। কিন্তু রাগের বহিঃপ্রকাশের মধ্যে কোনও রকম অসম্মানসূচক ব্যাপার ছিল না। ঠান্ডা মাথায় গাড়িতে উঠে পড়েন। ওঠার আগে সংশ্লিষ্ট পাপারাৎজ়িকে জানান ধাক্কা দেওয়ার কারণেই তিনি ছবি তুলতে দিতে রাজি নন।
আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় এদিন। ছবি তুলতে দেননি সারা ঠিকই, কিন্তু গাড়িতে ওঠার পর কাচ নামিয়ে পাপারাৎজ়িদের খবর নেন। যাওয়ার আগে হাত নেড়ে ‘টাটা’ও বলেন নিজস্ব স্টাইলে। এটাই সারা আলি খান, এটাই তাঁর নবাবি শিক্ষা।
নিজস্ব কায়দায় ছবি তুলতে নারাজ সারা বলেন, “…আপনারা তারপর ধাক্কা দেন…” এই ঘটনার পর সারার দেহরক্ষীদের সঙ্গে বচসা হয়ে সেই ফটোগ্রাফারের। কিন্তু ঝামেলা বেশি দূর গড়ায়নি। সেখানে ইতি হয়েছে। এই ঘটনাটি এক পাপারাৎজ়িই নিজের ইনস্টাগ্রামে দিয়েছিলেন। তাঁর শেয়ার করা ভিডিয়ো দেখে সকলেই প্রশংসা করেছেন সারার। কঠিন সময় ‘কুল’ থাকার জন্য বাহবা কুড়িয়েছেন ছোটে নবাবের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে নেই বাংলা; বাঙালি পরিচালক রঞ্জন ঘোষের ছবি ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে
আরও পড়ুন: জানেন কি এখনও কলকাতার রাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে ফুচকা খান দীপিকা…
আরও পড়ুন: প্রসেনজিৎ আমাকে ক্যামেরার সামনে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করত, তারপরই থাপ্পড় মারত: অনামিকা সাহা