Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আর্থিক প্রতারণা মামলায় শিল্পাকে নোটিস পুলিসের, আরও বিপাকে কুন্দ্রা পরিবার

ব্যক্তিগত ভাবে শিল্পার বাড়িতে গিয়ে সেই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে লখনউ পুলিসের তরফে। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় শিল্পার বয়ানও চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিস।

আর্থিক প্রতারণা মামলায় শিল্পাকে নোটিস পুলিসের, আরও বিপাকে কুন্দ্রা পরিবার
শিল্পা শেট্টি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2021 | 11:17 AM

আরও বিপাকে কুন্দ্রা পরিবার। রাজ কুন্দ্রার পর এ বার শিয়রে শমন শিল্পা শেট্টিরও। আর্থিক প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছিল অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। এ বার সেই মামলার নিরিখেই শিল্পাকে নোটিস পাঠাল লখনউ পুলিস।

এ প্রসঙ্গে লখনউ পুলিশের সচিব ডিকে ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ওয়েলনেস সেন্টার IOSIS-এর কার্যনির্বাহী পরিচালক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে একটি আর্থিক প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। লখনউতে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন এক ব্যক্তি। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে ওই সংস্থার চেয়ারপার্সন শিল্পা শেট্টি। সেই কারণেই তাঁকে পুলিশের তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ব্যক্তিগত ভাবে শিল্পার বাড়িতে গিয়ে সেই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে লখনউ পুলিসের তরফে। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় শিল্পার বয়ানও চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিস।

এক ওয়েলনেস সেন্টারকে ঘিরেই যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত। ওই সংস্থার কর্ণধার শিল্পা হলেও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁর মা সুনন্দা শেট্টিও। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ওই ফিটনেস সংস্থার শাখা রয়েছে। দিন কয়েক আগে জ্যোৎস্না চহান নামে এক ব্যক্তি শিল্পা ও তাঁর মায়ের নামে অভিযোগ করেন, কোম্পানির শাখা খুলে দেওয়ার নাম করে শিল্পা ও তাঁর মা তাঁর কাছ থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এরই পাশাপাশি রোহিত বীর সিংহ নামে এক ব্যক্তি বিভূতি খন্দ থানায় আরেকটি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন শিল্পা ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে। এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই শিল্পাকে নোটিস পাঠাল লখনউ পুলিস।

পর্নকাণ্ডে স্বামী রাজ কুন্দ্রা গ্রেফতার হওয়ার দুই সপ্তাহ পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন শিল্পা। তিনি লিখেছিলেন,

“হ্যাঁ, বিগত বেশ কিছু দিন আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল। অনেক গুঞ্জন, অনেক অভিযোগের পাহাড় পেরতে হয়েছে আমাদের। মিডিয়া ও আমাদের তথাকথিত শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে অনেক অনভিপ্রেত ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। অনেক ট্রোলিং… অনেক প্রশ্ন… শুধু আমাকে নয়, আমার পরিবারকেও যেতে হয়েছে এর মধ্যে দিয়ে।”

শিল্পা যোগ করেন, “আমার কী বক্তব্য? আমি এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে মন্তব্য করিনি। করবও না, কারণ গোটা ব্যাপারটি আইনের আওতাবদ্ধ। তাই আমার মুখে কোনও উক্তি বসানো বন্ধ করুন। আমার জীবনদর্শ বলে, আমি সেলিব্রিটি তাই , ‘অভিযোগ কোরো না, কাউকে কিছু ব্যাখ্যা করতেও যেও না।’ আমি একটা কথাই বলব। তদন্ত চলছে। মুম্বই পুলিশ ও ভারতীয় বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” শিল্পা এও যোগ করেন, পরিবার হিসেবে এই মুহূর্তে আইনের পথেই চলছেন তাঁরা।

তিনি লেখেন, “সবাইকে অনুরোধ করছি একজন মা হিসেব– অন্তত আমার সন্তানদ্র জন্য এই অর্ধসত্য তথ্যকে হাতিয়ার করে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন। আমি ভারতের একজন আইন অনুসরণ করা গর্বিত নাগরিক। ২৯ বছর ধরে কষ্ট করে নিজেকে এ জায়গায় দাঁড় করিয়েছি। মানুষ আমায় বিশ্বাস করেন, আমি আজ পর্যন্ত কাউকে আমার জন্য সম্মান হানি হতে দিই নি। আর সেই কারণেই আমার পরিবার ও তার গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের দাবি জানাচ্ছি আপনাদের। এই মিডিয়া ট্রায়াল আমাদের প্রাপ্য নয়। আইনকে আইনের পথে চলতে দিন। সত্যমেব জয়তে।”