ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরাই পিছন থেকে ছুরি মেরেছে, বিস্ফোরক শ্রেয়াস
শ্রেয়াস জানিয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কোনও বন্ধু নেই। সকলকেই সহকর্মীর চোখে দেখেন তিনি।
শ্রেয়াস তলপড়ে (Shreyas Talpade)। বলিউড (bollywood) কেরিয়ার দারুণ উজ্জ্বল তেমন হয়তো নয়। কিন্তু তাঁর ঝুলিতে নাগেশ কুকনুর পরিচালিত ‘ইকবাল’-এর মতো ছবি রয়েছে। শ্রেয়াসের কমিক টাইমিংও দর্শকের পছন্দের। এ হেন শ্রেয়াসের কেরিয়ার অনেক উজ্জ্বল হতে পারত। কিন্তু সে পথে নাকি বাধা হয়ে দাঁড়ান তাঁর সহকর্মীরা। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে শ্রেয়াস অভিযোগ করেছেন, ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেই তাঁকে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়।
শ্রেয়াস জানিয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কোনও বন্ধু নেই। সকলকেই সহকর্মীর চোখে দেখেন তিনি। ‘ইকবাল’ মুক্তি পাওয়ার পর তিনি অনেক ছবির অফার পেয়েছিলেন, এ কথা ঠিক। কিন্তু প্রথম থেকেই বেছে কাজ করেছেন শ্রেয়াস। সুভাষ ঘাইয়ের মতো পরিচালক যখন শ্রেয়াসকে ‘আপনা সাপনা মানি মানি’র মতো ছবি অফার করেন, তখনও তা নিয়ে দ্বিধা ছিল তাঁর, এ কথা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেতা।
শ্রেয়াস বলেন, “একটা সময়ের পর আমি লক্ষ্য করি, আমাকে নিয়ে কিছু অভিনেতার ইনসিকিওরিটি তৈরি হয়েছে। আমার সঙ্গে স্ক্রিন স্পেস শেয়ার করতে তাঁরা ভয় পেতেন। সে কারণে আমি ছবিতে থাকি, তা তাঁদের পছন্দ ছিল না। আবার যাদের বন্ধু ভাবতাম, তারা পিছন থেকে ছুরি মেরেছে। আমাকে ছাড়াই যখন তারা ছবি করতে শুরু করল, আমি ভাবলাম, আদৌ কি এদের বন্ধু বলতে পারি? আসলে ইন্ডাস্ট্রিতে মাত্র ১০ শতাংশ লোক অন্যের ভাল হলে খুশি হয়। বাকি ৯০ শতাংশ সহকর্মী। এখানে ইগোটা সাংঘাতিক।”
এত সমস্যার পরেও ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবেননি শ্রেয়াস। তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, ভাল কাজ পাবেন। তাঁর মতে, অমিতাভ বচ্চনের কেরিয়ারেও খারাপ সময় এসেছিল। পরে সেই দুঃসময় কেটে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “যখনই মন খারাপ হয়, আমি ভাবি, আমিই ‘ইকবাল’ করেছিলাম। এখনও ভাল চরিত্রের খিদে রয়েছে। যেটা যে কোনও অভিনেতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আসলে খারাপ সময় প্রত্যেকের জীবনে আসা প্রয়োজন। তাহলেই মানুষ হিসেবে আরও পরিণত হওয়া যায়। সময়ের মূল্য দেওয়া সম্ভব হয়।”
আরও পড়ুন, করোনার টিকা না নেওয়ার আসল কারণ জানালেন অন্তঃসত্ত্বা দিয়া মির্জা