জন্মদিন বরাবরই তাঁর কাছে স্পেশ্যাল। তিনি অর্থাৎ অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। আজ তিনি বার্থডে গার্ল। জন্মদিনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছেন। যাঁরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। তিনি লিখেছেন, ‘আমি অনুভব করছি, অনেক কারণে এ বছর যেন আমার পুনর্জন্ম হল।’
কেন এমন মনে হচ্ছে সুস্মিতার তারও ব্যখ্যা দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘একটা সিক্রেট শেয়ার করি। আরিয়া ২ শেষ করার পর ১৬ নভেম্বর একটা সার্জারি হয়েছে। সেটা সফল হয়েছে। প্রতিটা দিন এখন আমার কাছে সুন্দর। আপনাদের সকলের ভালবাসার শক্তি আমি অনুভব করতে পারছি। আমার ৪৬তম জন্মদিন স্বাস্থ্যকর নতুনের সূচনা করে দিল। আরও অনেক কিছুর অপেক্ষায় রয়েছি। কারণ বেঁচে থাকাই সবথেকে বড় উপহার।’
সুস্মিতার বড় মেয়ে রেনে ইতিমধ্যেই মায়ের পেশা বেছে নিয়েছেন। মায়ের মতোই অভিনয় শুরু করেছেন তিনি। সুস্মিতা সব দিক থেকে আগলে রেখেছেন তাঁকে। তিনি যে সুস্মিতার দত্তক কন্যা, এ তথ্যও রেনের কাছে অজানা নয়। কিন্তু নিজের জন্মদাত্রী মায়ের পরিচয় কি জানেন রেনে? সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আস্ক মি এনিথিং’ প্রয়াসে রেনেকে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন এক ওয়েব অডিয়েন্স। প্রশ্ন ছিল, ‘আপনি কি আসল মায়ের পরিচয় জানেন? আমরা সকলেই জানি, সুস্মিতা ম্যাম অসাধারণ। তবু জানতে চাইছি।’ এর উত্তরে রেনে বলেন, ‘আমি আমার মায়ের হৃদয় থেকে জন্ম নিয়েছি। এটাই আসল সত্যি।’
এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা জানিয়েছিলেন, রেনের ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর জন্মদাত্রী বাবা, মাকে খোঁজার কাজে রেনেকে তিনি সাহায্য করতে চান। কিন্তু রেনের ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর রেনে নাকি জন্মদাতা বাবা, জন্মদাত্রী মাকে খুঁজতে চান না, বলেই জানান সুস্মিতা। রেনে নিজে এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানান, এই বিষয়ে কোনওদিন কাউকে প্রশ্ন না করাই ভাল। কারণ এটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। যদি কেউ নিজে থেকে শেয়ার করেন, সেটা আলাদা বিষয়। আর তা না হলে যাঁকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, অথবা জন্মদাতা বাবা, জন্মদাত্রী মা যদি তা দেখেন, তাঁদের খারাপ লাগতে পারে। যেটা অভিপ্রেত নয়।
রেনে অভিনীত প্রথম শর্ট ফিল্ম দেখে নাকি কেঁদে ফেলেছিলেন সুস্মিতা। ২০০০ সালে তাঁকে দত্তক নেন অভিনেত্রী। আলিশাকে ২০১০-এ দত্তক নেন তিনি। রেনে জানান, তাঁর ১৮ বছর বয়স হওয়ার পরই নাকি সুস্মিতা বলে দিয়েছিলেন, এ বার থেকে যে কোনও সাফল্য এবং ব্যর্থতার দায় একান্ত তার। ইউটিউবে এক শর্টফিল্মের মধ্যে দিয়ে বলিউডে পা রেখেছেন রেনি। ছবির নাম ‘সুট্টাবাজি’। মায়ের পরিচয়ে নয়, নিজের পরিচয়েই বলিউডে পরিচিত হতে চান তিনি।
আরও পড়ুন, Abantika Biswas: জন্মদিনে বিশেষ কী উপহার পেলেন অবন্তিকা?