শাশুড়ির সঙ্গে নতুন বউমার সমীকরণ নিয়ে কথা হয়। আলোচনা হয়। ধারাবাহিকের প্লট তৈরি হয়। কিন্তু জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরের সম্পর্ক নিয়ে কতখানি কথা হয়? আদরে মানুষ রাজকন্যাকে বাবারা তুলে দেন অন্য একটি ছেলের হাতে। বলা ভাল তাঁকে দান করে দেন বিয়ের সময়। বুক ফাটে পিতার। জামাইকে ছেলে মনে করে মেয়ের গুরুদায়িত্ব দিয়ে ফেলেন তাঁরই হাতে। বাবা-ছেলের সম্পর্ক তৈরি করার স্বপ্ন নিয়ে নতুন পৃথিবী তৈরি করেন সেই পিতা। কিন্তু অনেক বাবাই আশাহত হন পরবর্তীতে। তবে যতই যাই হোক, চেষ্টা কিন্তু থাকেই। আলিয়া ভাটের বিয়েতে মহেশ ভাটকে সেরকমভাবেই দেখা গেল।
কন্যা আলিয়া নন, জামাই রণবীরের নাম মেহেন্দিতে লিখেছিলেন হাতের তালুতে। গাড়ি করে বিয়ের আসরে যাওয়ার সময় পাপারাৎজ়িদের হাত নেড়েছিলেন মহেশ। তাঁর হাতের তালু নজর এড়াইনি মোটে। ক্যামেরা জ়ুম করে মহেশের হাতের তালুতে। বড় বড় অক্ষরে লেখা রণবীরের নামই।
এদিন বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পর দুটি ছবি পোস্ট করেন আলিয়ার সৎ বোন পূজা ভাট। দুটি ছবি বলে গেল অনেক কিছু। জামাই রণবীরের বুকে মাথা রেখে মহেশ। হয়তো বলতে চাইছেন ‘আমার জিগর কা টুকরাকে ভাল রেখো।’ পূজা অবশ্য লিখেছেন, “শব্দের প্রয়োজন হয় না যদি কারও শোনার ইচ্ছে থাকে। মনের কথা হৃদয়ে বিরাজ করে কি না…”
১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের জুহুতে কাপুরদের বাস্তু বাড়িতে বসেছিল আলিয়া-রণবীরের বিয়ের আসর। সেই আসর ছিল আলোয় ঝলমলে। পাঞ্জাবী মতে বিয়ে করেছেন দুই তারকা। আলিয়াই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি শেয়ার করেছেন। সাদা-সোনালি পোশাকে ঝলমলে, অথচ ছিমছাম নবদম্পতি। চোখ ফেরাতে পারেননি কেউই!
আরও পড়ুন: Ranbir Kapoor-Rishi Kapoor: একাধিক নারীসঙ্গ, ছেলেকে অবহেলা; শিশু রণবীরের কাছে ভিলেন ছিলেন বাবা ঋষিই