‘এখনও দোষীরা সাজা পায়নি’, আরজি কর নিয়ে বিস্ফোরক চিরঞ্জিত
৯ অগাস্ট বাংলার বুকে এক কালো দিন। তবে বছর ঘুরেও পাল্টালো না কিছুই, দাবি তিলোত্তমার বাবার। একবছরের মাথায় প্রতিবাদে নেমে ঝরল রক্ত। ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন অভিনেতা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।

দেখতে দেখতে কেটে গেল একটা বছর। আজও তিলোত্তমার হয়ে বিচার চেয়ে পথে নামছে কতশত মানুষ। ৯ অগাস্ট বাংলার বুকে এক কালো দিন। তবে বছর ঘুরেও পাল্টালো না কিছুই, দাবি তিলোত্তমার বাবার। একবছরের মাথায় প্রতিবাদে নেমে ঝরল রক্ত। ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন অভিনেতা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তিলোত্তমার বাবা-মা যে অভিযোগ এতদিন করে যাচ্ছিলেন, সেই অভিযোগের সুর কি এবার রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক চিরঞ্জিতের গলায়? ‘ধর্ষণ-খুনে প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পরেনি’।
এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন, বারাসাতের বিধায়ক চিরঞ্জিত। ‘কেন্দ্রীয় সরকার কী করছে?’ এই প্রশ্ন তুললেন অভিনেতা-বিধায়ক। পাশাপাশি নবান্ন অভিযানে তিলোত্তমার মায়ের আঘাত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। রবিবার এই মর্মে চিরঞ্জিত বললেন– “কে করেছে তো বোঝা যাচ্ছে না। যাঁরা নিয়ে গিয়েছিলেন ওঁদের, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া উচিত ছিল। বিজেপি ঘিরে ছিল, সেই ঘেরাটা সঠিক হয়নি বলেই তো বুঝতে পারছি। তারমধ্যে কে কাকে মেরেছে বলতে পারব না। তবে আমি খুব দুঃখিত, আমি মর্মাহত, যে ওঁর লেগেছে। একেবারেই উচিত ছিল না। আরেকটা কথা, আমি আমার দিক থেকে বলতে পারি, সেটা হচ্ছে যে, এর কিন্তু সমাধান হতেই হবে। আমার মনে হয় না, দোষীরা এখনও সাজা পেয়েছে। আমার মনে হয় না, কারও মনে হয় না। সিবিআই চোখে বন্ধ করে আছে।”
এরপরই TV9 বাংলার পক্ষ থেকে তিলোত্তমার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, “প্রথমে যা বলতে ইচ্ছে করছে, তা হল, চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর ওপর আবার শাস্তির খাঁড়া নেবে আসবে না তো! আর আমার মেয়ের তদন্তের বিষয় বলতে পারি, কলকাতা পুলিশ, আরজি কর হাসপাতাল ও তৃণমূলের দল, ওই ৯ তারিখ যে অত্যাচার আমাদের ওপর চালিয়েছিল, তার সমাধান যদি না হয়, আমরা এর বিচার পাব না। বিশ্বের সেরার সেরা তদন্ত কমিটিও যদি আসে, এর বিচার পাওয়া মুশকিল আছে। কলকাতা পুলিশকে আগে সঠিকভাবে তথ্যপ্রমাণ দিতে হবে। আদালতের চাপেই সিবিআইকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু সেই আদালতেই রাজ্য সরকার আমাদের বিরোধিতা করছে। আমরা যাতে ন্যায়-বিচার না পাই, সেই ব্যবস্থা প্রতিটা মুহূর্তে করছে। এই ৯ অগাস্ট রাজ্য সরকার প্রমাণ করে দিল, ২০২৪-এ তোমরা যেখানে ছিলে, আমরা যেখানে ছিলাম, সেখানেই আছি, তোমরা আমাদের কিছুই করতে পারনি।”
