বাপ্পি লাহিড়ী চেয়েছিলেন, পরিবারের প্রথা মেনে মৃত্যুর পর তাঁর অস্থি বিসর্জন হবে বাংলার বুক চিড়ে বয়ে চলা গঙ্গা নদীতেই। বাবার ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েই তেমনটাই করলেন ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী। বিদেশ থেকে প্রথমে মুম্বই, তারপর মুম্বই থেকে উড়ে এলেন সোজা কলকাতা। আর এই শহরেই আউট্রাম ঘাটে বাপ্পি লাহিড়ীর শেষ চিহ্নটুকু বিলীন হয়ে গেল গঙ্গা নদীর গর্ভে।
বাপ্পার কথায়, “আমার ঠাকুমা-ঠাকুরদার শেষকৃত্যও এই শহরেই হয়েছিল। বাবারও সেই ইচ্ছেই ছিল। তিনি তো বাংলার ছেলে ছিলেন। বাঙালি হিসেবে আমরা গর্বিত। তাই বাবার ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েই এই শহরে আসা। বাবাকে ছাড়া এই প্রথমবার এখানে।”
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৬৯ বছর বয়সে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় প্রয়াত হন বাপ্পি লাহিড়ী। শোকে পাথর হয়ে যায় গোটা সঙ্গীতজগৎ। ছেলে বাপ্পাও ছিলেন বিদেশে। খবর পেয়েই ছুটে আসেন তিনি। গতবছর, এপ্রিল মাস নাগাদ কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। সেই সময় মুবইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তবে জলদিই হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়ে যান তিনি। সেই সময় লাহিড়ি পরিবার থেকে বলা হয়েছিল, যাঁরা বাপ্পি লাহিড়ির সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরা যেন কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেন।
এর পর সেপ্টেম্বর মাসে ফের শিরোনামে আসেন প্রবাদপ্রতিম এই সুরকার এবং গায়ক। শোনা যায়, কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন সকলের প্রিয় বাপ্পিদা। যদিও এইসব গুজব নস্যাৎ করে দেন ডিস্কো কিং স্বয়ং। বিবৃতি দিয়ে জানান এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। তিনি সুস্থই রয়েছেন। সেই সঙ্গে বাপ্পি দা এও বলেছিলেন যে তাঁর সম্পর্কে এ ধরনের ভুয়ো খবর রটায় অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন তিনি। রিয়ালিটি শো’তেও বিশেষ বিচারকের আসনেও দেখা যায় তাঁকে। নাতিকে নিয়ে মঞ্চ কাঁপিয়েছেন এই তো কয়েক মাস আগেই, কিন্তু হঠাৎই স্লিপ অ্যাপনিয়া। শরীরেও একাধিক সমস্যা ছিল। ফেব্রুয়ারির ১৫, মধ্যরাত, ঘুমের মধ্যেই প্রয়াত হন বাপ্পি লাহিড়ী।
আরও পড়ুন- Shibani Dandekar: আর ‘মিসেস আখতার’ নন, বিয়ের দিন কয়েকের মধ্যেই সিদ্ধান্ত শিবানীর!
আরও পড়ুন– Ananya Panday: প্রেমিকের কথা শেষমেশ স্বীকার করেই নিলেন অনন্যা, কে সেই পুরুষ?